শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

মাগুরা প্রতিনিধি

শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

মাগুরার মহম্মদপুরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ শতবর্ষী গ্রামীণ মেলা ও ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হয়েছে। উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে গতকাল এ প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতি বছর বাংলা পৌষ মাসের ২৮ তারিখে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মূল মেলা ২৮ শে পৌষ হলেও আগে ও পরে প্রায় ১৫ দিন ধরে এর আমেজ চলে। এলাকার যুবক স্বাধীন জানায়, তার বাবার কাছে সে শুনেছে এ মেলা চলছে ১০০ বছরেরও বেশি, যা খুলনা বিভাগে সর্ববৃহৎ। এ মেলাকে ঘিরে উৎসব আমেজে মেতে ওঠে বালিদিয়া, মহম্মদপুর ও রাজাপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মেলায় বসে মাছ-মাংস, মিষ্টির দোকানসহ বাঁশ, বেত ও মৃৎশিল্পিদের তৈরি নানা রকম খেলনা ও প্রসাধনীর স্টল।

মোলায় আসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রং-বেরঙের ফার্নিচারের দোকান। ঐতিহ্যবাহী এ মেলার মূল আকর্ষণ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা, সাপখেলা, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, যাদু ও কমিডিয়ান শিল্পীদের উপস্থিতি। শিশু-কিশোর, ছেলে-বুড়ো, নারীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটাই উদ্দেশ্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড়া আসে। দুপুর ২টায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরুর আগমুহূর্তে ঘোড়ার মালিক, ফকির ও ছোয়ার ঘোড়াকে তার পথপরিক্রমা দেখাতে ব্যস্ত থাকেন। এর পর শুরু হয় কাক্সিক্ষত সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। শীতের বিকালে মিষ্টি রোদে অন্যরকম এক আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে লাখও দর্শক। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির সভাপতি প্রভাষক পান্নু মোল্যা জানান, শত বছরের এ মেলা দেখতে আশপাশের কয়েক জেলার নানা শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষের আগমন ঘটে। প্রশাসনসহ এলাকার সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে মেলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর