শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বীজতলা

পঞ্চগড়ে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বীজতলা

পলিথিন দিয়ে ঢেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না ধানের চারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতের কারণে বোরো ধান আবাদে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা। বর্তমানে তারা বোরো ধানের চারা প্রস্তুত করছেন। কিন্তু ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলুদ ও সাদা রং ধারণ করছে, বীজতলায় চারা বেড়ে উঠছে না। ধানের চারা তাই ঢেকে রাখতে হচ্ছে পলিথিন দিয়ে। এতে চাষিদের বাড়তি কর্মব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বোরো আবাদে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ৩৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষিরা বলছেন, মাঘ মাসের শুরু থেকে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হবে। এ জন্য জমি প্রস্তুত করছেন তারা। জৈব সারও দেওয়া হয়ে গেছে। বোরো ধানের চারা একটু বড় হলেই শুরু হবে রোপণ কার্যক্রম। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ বিরূপ হয়ে ওঠায় চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।  গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সারা দিন সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে থাকছে সবকিছু। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বোরোর বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারাগুলো তাপ ধরে রাখতে না পারার কারণে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার কমে যাওয়ায় চারা মরেও যাচ্ছে। সদর উপজেলার খানপাড়া এলাকার বোরোচাষি আফছার হোসেন জানান, শীতের কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে এটা হচ্ছে। তাই রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছি। দিনের বেলা রোদ উঠলে পলিথিনটা ফেলে দেই। কিন্তু এখন তো দিনের বেলায়ও রোদ নাই। তাই দিনের বেলায়ও অনেক সময় ঢেকে রাখতে হয়। কুয়াশার কারণে বোরো আবাদে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। বাড়তি সময়ও দিতে হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক বাসুদেব রায় জানান, তীব্র ঠান্ডার কারণে বোরো ধানের বীজতলা হলুদ হয়ে মরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। একটু সতর্ক হলেই এ সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। আমরা চাষিদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সঙ্গে ইউরিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। পঞ্চগড় জেলায় এ বছর ৩৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ১ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর