মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

পৌষ শেষ, শুরু হয়েছে মাঘ মাস। বেড়েছে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। তীব্র ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যার পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলান তাদের স্থবিরতা নেই। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত যেন তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত কৃষকরা কাদাপানিতে নেমে ধান রোপণ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। যা থেকে ৯৪ হাজার ১৩১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি অফিস। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কৃষি অফিসের। হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে ভোরে উঠে কাদা পানিতে নামছেন গ্রামের কৃষকরা। মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ডুমুরতলা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরে শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন। কৃষক লুৎফর মোল্লা বলেন, শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে কী করে। আমরা এ সময়ে বসে থাকলে পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কীভাবে। কৃষক রমজান আলী বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না। গোটা দেশের সমস্যা হবে। বেলা সাড়ে ১২টায় মহেশপুর পৌর এলাকার হুদোড় মোড় এলাকায় মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন মনির ও কাদের নামে দুই কৃষক। তারা বলেন, কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান খেত। তারপরই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক। মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার, প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বাড়ে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর