শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। মাটি ব্যবসায়ী এ চক্র কৃষককে নামমাত্র মূল্য দিয়ে ও অনেকের জমি থেকে জোরপূর্বক রাতের আঁধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে। জানা যায়, নন্দীগ্রামের গুলিয়া, কল্যাণনগর, বিজরুল, নিনগ্রাম, রিধইলসহ বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। খাসজমি থেকেও মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। গুলিয়া গ্রামে একটি খাসজমিতে এক্সক্যাভেটর (ভেকু) মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করায় তা পুকুরে পরিণত হয়েছে। চিহ্নিত মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাকে করে এসব জমির মাটি বিক্রি করছেন, অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাটি কেটে বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, বগুড়ার কাহালু, গাবতলী, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ভাটায় ইট তৈরির জন্য নন্দীগ্রামের মাটি খুবই উপযোগী। এখানকার ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আমন ধান কাটার পরই কৃষক জমির উপরিভাগ থেকে ১ ফিট পরিমাণ মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। সেই মাটি রাতের আঁধারে এক্সক্যাভেটর দিয়ে কেটে ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে ইটভাটায়। উপজেলার গুলিয়া গ্রামের কৃষক জানায়, তারা ১ শতাংশ জমির ১ ফিট মাটি বিক্রি করে এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। সে মাটি ব্যবসায়ীরা ভাটায় পৌঁছে দিয়ে পাচ্ছেন দ্বিগুণ দাম। এখান থেকে অর্ধশতাধিক ট্রাক্টর ও মাহেন্দ্র দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ট্রাক্টর-মাহেন্দ্রর বিরামহীন চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার পাকা সড়কগুলো। সেই সঙ্গে বিকট আওয়াজ আর ধুলাবালির কারণে অতিষ্ঠ আশপাশের জনজীবন। থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি অফিসের নায়েব জমশের আলী বলেন, ‘খাসজমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে শুনেছি। যারা খাস ও ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’ নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কোনো অবস্থায়ই ফসলি জমির মাটি বিক্রি করা যাবে না। যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর