মেহেরপুর, রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুরনো শীতবস্ত্রের বাজার জমে উঠেছে। স্বপ্লমূল্যে সুন্দর ও নজরকাড়া এসব পোশাক কিনতে ভিড় করছেন সব শ্রেণির ক্রেতা। মেহেরপুর : জেলার গাংনীতে প্রায় অর্ধশত দোকানে পুরনো শীতবস্ত্র বেচাকেনা চলছে। এটা গরিবের মার্কেট বলে পরিচিত হলেও সব শ্রেণির ক্রেতা এখানে পোশাক কিনতে ভিড় করছেন। বিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। বাহারি রঙের এসব শীতবস্ত্র ১০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে। কম দামে পোশাক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। বিশেষ করে স্বল্পআয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ এখানে বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার, ব্লেজার, মাফলারসহ রকমারি শীতের কাপড়ের খোঁজে আসছেন। কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, এখানে কম দামে ভালো মানের পুরাতন কাপড় পাওয়া যায়। এগুলোও মানসম্মত ও উন্নতমানের। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ এখানে রুচিসম্মত কাপড় পান। বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, এখানে সব ধরনের মানুষ কাপড় কিনতে আসে। এখানে যেমন ১০/২০ টাকা দামের কাপড় মিলে, তেমনি আবার ৭০০-৮০০ টাকা দামের কাপড়ও আছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে কাপড়ের চাহিদাও বাড়ছে। ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছে। রাঙামাটি : পাহাড়ে দামে কম, মানে ভালো এমন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের চাহিদামতো দোকানিরা পসরা সাজিয়েছেন। রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে শীতবস্ত্রের দোকান। ভাসমান দোকানগুলোয় ঢাকা-চট্টগ্রামের হকার্স মার্কেট থেকে কম দামের কাপড় আনা হয়েছে। ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে গরম কাপড়ের দাম। এখানে পাওয়া যাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের কাপড়। এখন ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি এসব গরম কাপড়ের। রাঙামাটি বনরূপা হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. হান্নান বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে শীত বেশি। শীত বস্ত্রের চাহিদাও বেশি। এক মৌসুমে আয় করা যায় কোটি টাকা। রাতদিন চলছে বেচাকেনা। রাঙামাটিতে আলাদা হকার্স মার্কেট না থাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের নির্ভর করতে হয় এসব অস্থায়ী শীত বস্ত্র দোকানের ওপর। পাহাড়ে যতই শীতের তীব্রতা বাড়ছে, ততই বাড়ছে শীত বস্ত্রের চাহিদা। এদিকে পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ঘরে বসে তৈরি করছেন তাঁতের শীতবস্ত্র। বাহারি ডিজাইনের আকর্ষণীয় সব বস্ত্র ক্রেতাদের যেমন দৃষ্টি কাড়ছে, তেমনি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এসব শীতবস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে। দামও সহনীয় থাকায় বেচা- কেনাও হচ্ছে জমজমাট। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা নারীরা ঘরে বসে কোমর তাঁতে তৈরি করছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাল, চাদর, সোয়েটার, মাফলার। প্রতিটি বড় কাপড় তৈরি করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে তাদের।