রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে গাছে গাছে রসালো কমলা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে গাছে গাছে রসালো কমলা

সাজেক ও খাঁশিয়া। ব্যাপক জনপ্রিয় পাহাড়ে উৎপাদন হওয়া এসব নামের কমলা। টসটসে রসালো। খেতে যেমন মজাদার। স্বাদে খুব মিষ্টি। তাই রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয়রা গড়ে তুলেছে এসব কমলার বাগান। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা ফিকে হলুদ রঙের কমলা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। এসব কমলা সংগ্রহ করে বিক্রেতারাও নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় হাটে। দামে কম। মানে ভালো। তাই নজর কেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব কমলা সরবরাহ করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি উপজেলা, নানিয়ারচর ও সদর এ চার উপজেলায় কমলা চাষ করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঢালু জায়গায় প্রতিটি টিলায় কমলার বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এক একটি টিলায় ২০০-৩০০ কমলার গাছ রয়েছে। অনেকেই গড়ে তুলেছে কমলার বাগান। এসব বাগানে এ বছর কমলার ফলন হয়েছে খুব ভালো। কমলায় বিভিন্ন হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে। দাম কম হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। রাঙামাটি বনরূপা বাজারের কমলা ব্যবসায়ী সুমন্ত চাকমা বলেন, এখানকার কমলা মিষ্টি ও টসটসে রসাল। স্থানীয় হাটবাজারে প্রতি ডজন কমলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা। ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে। তাই লাভবান হচ্ছে চাষি ও বিক্রেতারা। রাঙামাটি কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে রাঙামাটি জেলায় কমলার আবাদ হয়েছে ৬৭০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৬৫ টন। শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ টন। চাহিদা থাকায় এ ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। জেলার বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, রাজস্থলী, বরকল উপজেলাসহ বেশকিছু এলাকায়ও কমলা চাষ হয়েছে। রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ক্যান্টিলা চাকমা বলেন, এ বছর কমলা ফলন ভালো হয়েছে। বাগানে আরও পরিচর্যা করা হলে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষক বেশি লাভবান হতেন।

সর্বশেষ খবর