শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খাল ডোবায় পানি নেই

বোরো আবাদে সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তা

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

খাল ডোবায় পানি নেই

পানিশূন্য দুমকীর মুরাদিয়ার খাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বেশির ভাগ খাল ও নালা শুকিয়ে গেছে। সেচের পানির অভাবে বোরো চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কৃষকরা। শতশত হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন তারা।

দুমকীর শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মৃধা বলেন, পানির অভাবে বোরো আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। পানি না পাওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বোরো চাষ সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, অনেকে বোরো আবাদ করতে না পারায় বিকল্প হিসেবে মুগ, মশুরিসহ অন্য রবি ফসল চাষাবাদে ঝুঁকছেন। চরবয়েড়া গ্রামের বাকের আলী ও বাবুল হাওলাদার জানান, এলাকার প্রায় সবগুলো খাল ময়লা-আবর্জনাসহ নানা কারণে ভরাট হওয়ায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেচের অভাবে আমাদের গ্রামের কৃষকরা বোরো আবাদ করতে পারছেন না। বোরোর পরিবর্তে মুগডালের চাষাবাদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকে। একই অভিযোগ করেন আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আতিকুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার অভ্যন্তরীণ খাল, নালা, দিঘী, পুকুর, ডোবার বেশির ভাগই পানিশূন্য। পিরতলা, জলিশার কুন্ডমালা, আংগারিয়ার রূপাশিয়া ভাড়ানী, লেবুখালীর কচ্ছপিয়া, ফেদিয়া, গোদার খাল, কোহার-জোড়, ডাকাতিয়া, বয়ড়ার খাল, মুরাদিয়ার ঝড়ঝড়িয়াতলা, মহেশখালীসহ উল্লেখযোগ্য খালগুলো ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এসব খাল পৌষ মাসের শুরুতেই শুকিয়ে গেছে। ফলে দুমকীর পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় সর্বত্র সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত উপজেলার শতকরা পাঁচ ভাগ কৃষকও বোরো আবাদ করতে পারেনি। দুমকী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক পানির উৎস না থাকায় বোরো আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এবং আলগি, চরগরবদি, লেবুখালীর চরাঞ্চলের কৃষকরা নিজস্ব উদ্যোগে কিছু জমিতে বোরোর আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

সর্বশেষ খবর