শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আট মাস এক্স-রে বন্ধ, ভোগান্তি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আট মাস এক্স-রে বন্ধ, ভোগান্তি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সেবা বন্ধ আট মাস। জনবল সংকটে একমাত্র এক্স-রে মেশিন কক্ষটি দীর্ঘ সময় ধরে তালাবদ্ধ। ব্যবহার না থাকায় বিকল হতে বসেছে মেশিনের যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি পড়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। জরুরি প্রসূতিসেবায় উদ্ভাবনীমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ টানা দুবার বিশেষ জাতীয় পুরস্কার অর্জন, দেশে প্রথম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করিডোরে লাইব্রেরি স্থাপনসহ স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় স্থানীয় ও জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ সেবাপ্রার্থীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬ মে এক্স-রে মেশিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা একমাত্র রেডিওগ্রাফার বিপুল কুমার মণ্ডল অবসরে যান। এর পর থেকে পদটি শূন্য। বন্ধ রয়েছে এ সেবা। বিকল্প কোনো লোকবল না থাকায় বর্তমানে এক্স-রে কক্ষটি তালাবদ্ধ। এ ছাড়া যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। মেরামত না করায় নষ্ট পড়ে আছে। বর্তমানে এ সেবাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় সাধারণ রোগীরা। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বল্পমূল্যে এক্স-রে সেবা পাওয়া যায়। এক্স-রে করতে ছোট ফিল্মের জন্য ৭৫ ও বড় ফিল্মের জন্য ১২০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে রোগীদের। সেখানে এক্স-রে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। সেবা নিতে আসা পলাশবাড়ী ইউনিয়নের রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালানোই কঠিন। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অক্ষম হয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সেবা চালু থাকলে অনেক টাকা বেঁচে যেত। আর্থিক সংকটে থাকা আমার মতো রোগীদের জন্য এই অতিরিক্ত ব্যয় খুবই কষ্টসাধ্য।’ সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এক্স-রে করতে যে টাকা লাগে বাইরে তার দ্বিগুণের বেশি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালু থাকলে বেশ সাশ্রয় হতো; যা দিয়ে কিছু ওষুধ কেনা যেত। এ সেবা বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছে দরিদ্র রোগীরা।’ বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘রেডিওগ্রাফার পদটি শূন্য থাকায় এক্স-রে সেবা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে কবে এ পদে নিয়োগ হবে কোনো তথ্য জানা নেই।’

সর্বশেষ খবর