শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি-দোকান ভাঙচুর

নাটোর প্রতিনিধি

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি-দোকান ভাঙচুর

বড়াইগ্রামের দিয়াড়গাড়ফা গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর

বড়াইগ্রামে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সাতটি বাড়ি ও দুটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে মহিলাসহ আটজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নৌকার কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার দিয়াড়গাড়ফা গ্রামে হামলায় আহতদের মধ্যে এমদাদুল হক ইন্তাজ, তার স্ত্রী আছিয়া বেগম ও পুত্রবধূ মিনারা বেগম, গুলজার হোসেন, শিল্পী খাতুন ও মাহবুব আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সকালে চান্দাই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুজন আহম্মেদের নেতৃত্বে নৌকা সমর্থক শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। তারা এমদাদুল হক ইন্তাজ, তার ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্টু, ইসমাইল হোসেনের ছেলে গুলজার হোসেন, শাহীন আলম, দেলোয়ার হোসেন ও গোলাম হোসেন এবং হাফিজুর রহমানের ছেলে সানোয়ার হোসেনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ছাড়া মাহবুব আলমের মেকানিকের দোকান ও গুলজার হোসেনের সিমেন্টের দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা এসব বাড়ি থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও ২ ভরি সোনার অলংকার লুটে নিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি আধাপাকা বাড়ির নয়টি কক্ষের দরজা-জানালা এবং চারটি টিনশেড বাড়ির ১০টি কক্ষের বেড়ার টিন ও দরজা-জানালা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক মিটার ও পানি পাম্পও ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘরের ভিতরে ভাঙা টিভি, ফ্রিজ, আলমিরাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ইউপি সদস্য সুজন আহম্মেদ জানান, তিনি ঘটনায় জড়িত নন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরাই প্রথমে হামলার প্রস্তুতি নিয়ে জড়ো হয়। খবর পেয়ে নৌকার লোকজন পাল্টা হামলা করেছে। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর