বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্থ বরাদ্দের ছয় মাসেও শুরু হয়নি শহীদ মিনার নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

অর্থ বরাদ্দের ছয় মাসেও শুরু হয়নি শহীদ মিনার নির্মাণ

তিন মাস আগে স্থাপন করা ভিত্তিপ্রস্তর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

অর্থ বরাদ্দের ছয় মাস পরও বগুড়ায় শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। এর টেন্ডার পর্যন্ত কল করা হয়নি। শহীদ মিনার নির্মাণে প্রাক্কলন, নকশাও প্রস্তুত করা হয়নি। বগুড়াবাসীর দাবি ছিল, শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ করে সেখানে চলতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরির মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা। সে দাবি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জেলা পরিষদের প্রকৌশলী বিভাগের কাজে অগ্রগতি না থাকায় এ অবস্থা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে জেলা সদরে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ। এ দাবিতে জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলন গড়ে তোলে। এর প্রেক্ষিতে জেলা শহরের শহীদ খোকন পার্কের শহীদ মিনার সংস্কার করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও পুনর্নির্মাণ কাজে অগ্রগতি নেই। এর ফলে চলতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি নতুন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না বগুড়াবাসী। এতে জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ২০২৩ সালের ১৮ মে বগুড়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে এক কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তবে এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও গত বছর ১৩ নভেম্বর নতুন শহীদ মিনার নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি জেলা পরিষদ। বগুড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা বলছেন, একসময় বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করে আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। কিন্তু তা এ বছর হলো না। কয়েকদিন পরে একুশে ফেব্রুয়ারি। বরাদ্দ যা আছে তা দিয়ে অন্তত নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ কাজটি শুরু করা হোক। শহীদ মিনার চত্বর ঘিরে সংস্কৃতিবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। ভাষা আন্দোলনের চেতনার বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হোক। জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মোহায়েদুল ইসলাম জানান, দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এখন পর্যন্ত শহীদ মিনারের প্রাক্কলন প্রস্তুত হয়নি। নকশাও পাওয়া যায়নি। প্রাক্কলন ও নকশা পাওয়ার পর টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

সর্বশেষ খবর