শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা

পরিবেশের সর্বনাশ, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের

সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা

অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা

গাইবান্ধার সাঘাটায় অবৈধভাবে চুল্লি তৈরি করে অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। রাস্তার পাশে এসব চুল্লি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ ওই এলাকার সাধারণ মানুষের, সর্বনাশ হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের। জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে গাছ কেটে এনে এসব চুল্লিতে কাঠ সরবরাহ করা হয়। এতে বনজসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। সেইসঙ্গে সৃষ্ট ধোঁয়ায় স্থানীয়দের শ্বাসকষ্টসহ নানা ব্যাধি হচ্ছে।

সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের নাশিরারপাড়া, চাকলীপাড়া, মুক্তিনগর ইউনিয়নের মানিকবাজার, ভন্নতেরবাজার এলাকায় রাস্তা ঘেঁষে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে ১৩টি কয়লা কারখানা। দিন-রাত এসব চুলায় আগুন জ্বলে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চুল্লির মধ্যে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য মুখগুলো মাটি এবং ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা মুখ দিয়ে চুল্লিতে আগুন দেওয়ার পর সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২৫০ বা ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। পরে এই কয়লা শীতল করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কারখানা মালিকরা এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে স্থানীয়রা ভয় পায়। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কয়লা তৈরির চুল্লির কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। গাছের ফল-মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। ওই এলাকার কলেজপড়ুয়া রাব্বী হাসান বলেন, চুল্লির ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে, খুশখুশে কাশি হয়। সারা দিন প্রচণ্ড গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্ট হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসাহাক আলী বলেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়া কয়লা কারখানা স্থাপন করা যাবে না। আমরা তিনটি কারখানা ভেঙে দিয়েছি। শিগগিরই এগুলো বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রংপুর পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রায়হান হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর