চলতি মৌসুমে জয়পুরহাটে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। মাঠের দিগন্তজুড়ে শোভা পাচ্ছে হলুদের সমারোহ। গত কয়েক বছর সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার জেলায় ব্যাপকহারে এই শস্য চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। উত্তরের সীমান্তবর্তী জয়পুরহাট জেলা মূলত আলু ও ধান চাষে বিখ্যাত। এবার আলুর পাশাপাশি সরিষা বুনেছেন চাষিরা। বিস্তীর্ণ মাঠ ছেয়ে গেছে হলুদ ফুলে। কিছু জমির গাছে সরিষার দানা আসতে শুরু করেছে। সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের কৃষক নাজির উদ্দীন বলেন, এক বিঘা সরিষা চাষ করতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাতে ফলন হয় ৭-৮ মণ। ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি হলে ৭ হাজারের মতো লাভ হয় বিঘাপ্রতি। পুরানাপৈল শালগ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর সরিষার ভালো দাম ছিল। ফলে এবারও এই এলাকায় মাঠজুড়ে শুধু সরিষা চাষ হয়েছে। হালট্টি গ্রামের সোহেল রানা বলেন, গত বছর এক বিঘায় খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা। এবার সার-কীটনাশকের দাম বাড়ায় ৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আক্কেলপুরের মাতাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, তেলের দাম বেশি এ জন্য দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এক বিঘার সরিষা বিক্রি করব। আর বাকি সরিষা তেল করব বাড়িতে খাওয়ার জন্য। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এ জেলা সরিষা চাষের জন্য অগ্রগামী। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সরিষা তেল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি বাজারেও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ জন্য কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন। তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর।