সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্কুলভবন নির্মাণে ধীরগতি শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

জুন্নু রায়হান, ভোলা

স্কুলভবন নির্মাণে ধীরগতি শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

লালমোহনের হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভোলার লালমোহনের হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। কাজে ধীরগতির জন্য ঠিকাদারের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারি স্কুলসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচতলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া কাজ ২০২০-এর অক্টোবরে সম্পন্ন হওয়ার কথা। অভিযোগ রয়েছে প্রধান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে অন্য লোক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। তাছাড়া নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ তোলায় সাব ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই পুরনো ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে। ছাদ, দেয়াল ও পিলারে বড় বড় ফাটল ধরেছে। এ ভবনে পড়ালেখা করতে ভয় লাগে। হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা আকতার জানান, পাঁচ বছর আগে নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ একটি একতলা ভবনের চারটি কক্ষে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে পাঠদান করানো হচ্ছে। ভবনের ছাদ ধসে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, কাজ যেটুকু হয়েছে তাও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। স্টিল সাটারিংয়ের কাজ চলছে বাঁশ দিয়ে। এসব নিয়ে কথা বলায় ঠিকাদারের লোকজন এসে হুমকি দিয়ে গেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খোকন গোলদার জানান, কাজটি তিনি করছেন না। কাজ করছেন শাহাবুদ্দিন নামের এক লোক। তাকে বারবার তাগাদা দিয়েও কাজে গতি আনা যাচ্ছে না। সাব ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন জানান, অন্যের লাইসেন্সে করলেও কাজ মূলত আমার। প্রায় ৯০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি, তবে বিলম্ব হয়েছে। কারণ প্রথম প্ল্যানে মাঠের মধ্যে ভবন করার কথা ছিল। তাতে পাইল ছিল না। পরে পুকুর ভরাট করতে হয়েছে। নতুন করে ৬০ ফুট পাইলের অনুমোদন হয়ে আসতে সময় লেগেছে। কাজ শুরুর পরই আবার করোনা মহামারি শুরু হয়। ঠিকাদার আরও জানান, ২০১৪ সালের বাজেটের কাজ। এখন সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তারপরও কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। স্থানীয় একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। ভবন নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, স্কুল ভবনের কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদার অনেক দেরি করেছেন। কাজটি শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর