সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দাউদকান্দির ট্রমা সেন্টার ১৭ বছরেও চালু হয়নি

উদ্বোধন হয়েছে দুবার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লা জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টারটি দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগরে অবস্থিত। দেশের ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কুমিল্লার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় এ ট্রমা সেন্টার। সরকারি সিদ্ধান্ত এবং প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ না থাকায় উদ্বোধনের ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। অথচ জোট ও মহাজোট সরকারের দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রীই হাসপাতালটি উদ্বোধন করেছিলেন। কার্যক্রম না থাকায় এটি অব্যবহৃত পড়ে আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের অর্থায়নে ৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেন্টারটির নির্মাণ করা হয়। কুমিল্লায় কোনো সড়ক দুর্ঘটনা হলে আহতদের স্থানীয় ডাক্তাররা দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে চিকিৎসার অভাবে অনেকে প্রাণ হারান। দাউদকান্দির ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে তাদের দ্রুত এখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত। জানা যায়, বিএনপি দলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার আগ মুহূর্তে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে মাস খানেক পর বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ন ম রুহুল হক ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয়বার ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। তখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক মাসের মধ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্রমা সেন্টারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল দেওয়া হবে। ঘোষণার ১৩ বছর পার হলেও কোনো কার্যক্রম চালু হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুন্দর একটি ভবন ছাড়া আমরা কিছুই পাইনি। আর কতবার উদ্বোধন করলে এ ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম চালু হবে এমন প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দা মুকবুল মেম্বারের। সেন্টারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা থাকলেও গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান জানান, হাসপাতালটি চালু না থাকলেও একজন চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের আউট ডোর সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালটি পুরোদমে চালু করতে লোকবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

সর্বশেষ খবর