সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নার্সারির গ্রাম কৃষ্ণপুর

সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা

নার্সারির গ্রাম কৃষ্ণপুর

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন একেকটি নার্সারি। কোথাও অনাবাদি নেই এক টুকরো জমি। নার্সারি পেশা কৃষ্ণপুরবাসীর ভাগ্য বদলে দিয়েছে। শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন কেউ কেউ। প্রতি বছর দেড় শতাধিক নার্সারি থেকে কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। গাইবান্ধা শহর থেকে কৃষ্ণপুরের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাজার থেকে একটু দক্ষিণে এগুলে নানা প্রজাতির গাছের চারা নজর কাড়ে। যতদূর দৃষ্টি যায় ফুল, ফল, ওষুধি ও বনজ চারা দেখা যায়। যেগুলোর গোড়ার মাটি পলি প্যাকেটে আবদ্ধ। নার্সারিগুলোয় কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন। ঝাঁজরি দিয়ে চারায় পানি দিচ্ছেন কেউ। এ গ্রামে রয়েছে দেড় শতাধিক বাণিজ্যিক নার্সারি। যেখানে ফুল, ফলসহ বিভিন্ন বনজ উদ্ভিদের চারা উৎপাদন ও বিক্রি হয়। স্থানীয়দের কাছে কৃষ্ণপুর নার্সারি হিসেবে অধিক পরিচিত। গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে প্রায় ৪০০ পরিবার নার্সারি পেশায় সম্পৃক্ত। গ্রামের মাঠে মাঠে এমনকি বাড়ির উঠানেও চারা উৎপাদন করা হয়। আম, কাঁঠাল, পেঁয়ারাসহ নানা দেশি ফল ছাড়াও আপেল, কমলালেবু, মাল্টা, বিদেশি পার্সিমন, পিনাক বাটার, কিউই, শ্বেতচন্দনসহ বিভিন্ন ফলদ ও ভেষজ গাছের চারা রয়েছে নার্সারিতে। গ্রামজুড়ে গড়ে ওঠা নার্সারিতে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী শ্রমিক এসব বাগানে কাজ করছেন। আকাশ নার্সারিতে কর্মরত তিন সন্তানের জননী রহিমা বেগম বলেন, সকালে এখানে কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে ভালোভাবেই সংসার চলে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ছোট-বড় দেড় শতাধিক নার্সারিতে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। এসব নার্সারি উদ্যোক্তাদের সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। জেলায় ১৫৭ হেক্টর জমিতে নার্সারি আছে। এরমধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে নার্সারি রয়েছে। যা জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বেশি।

সর্বশেষ খবর