বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্যায় ভাঙা সেতু নির্মাণ হয়নি তিন বছরেও

সেতু বরাদ্দের টাকা ফেরত

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

বন্যায় ভাঙা সেতু নির্মাণ হয়নি তিন বছরেও

সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের নোয়াগাঁওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের দুটি সেতু তিন বছর আগে বন্যার পানিতে ভেঙে যায়। ওই দুটি স্থানের একটিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে মাত্র ৩০ ভাগ কাজ করে চলে গেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ দিকে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারায় ঝুলে গেছে সেতুটির নির্মাণ কাজ। ফেরত গেছে বরাদ্দের টাকা। আর এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষকে। স্থানীয়রা জানায়, ২০২০ সালের বন্যায় ওই সড়কের নোয়াগাঁও এবং পানাইল এলাকায় দুটি সেতু ও সড়কের অংশবিশেষ ভেঙে যায়। এ কারণে তিন বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে নোয়াগাঁওয়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ শুরু করে এলজিইডি। গত বছরের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদকালে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। অবশিষ্ট কাজ ফেলে চুক্তি বাতিল করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ঝুলে গেছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সেতু নির্মাণ কাজ।

স্থানীয়রা জানায়, ওই সেতু নির্মাণে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বালু-পাথর সরবরাহের জন্য নানাভাবে চাপ দেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। লোকশান হওয়ার শঙ্কায় ৩০ ভাগ কাজ করার পর চুক্তি বাতিল করে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাকি কাজ কবে হবে তার কিছুই জানেন না তারা।

এদিকে ব্যস্ততম সড়কটির দুটি স্থানে সেতু না থাকায় বর্ষায় খেয়া নৌকা দিয়ে সীমিত আকারে পারাপার চলে। আর হেমন্তে ফসলি জমির ওপর দিয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করে যানবাহন। তবে বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সুবিধাটুকুও বন্ধ হয়ে যায়।  সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, নোয়াগাঁওয়ে ভাঙা স্থানে সেতুর বাকি কাজের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার পর কাজ শুরু হবে। আর পানাইলে সেতু নির্মাণের জন্য ডিজাইন প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলে প্রাক্কলন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

সর্বশেষ খবর