শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘোষণার ১৩ বছরেও হয়নি রেলপথ

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

ঘোষণার ১৩ বছরেও হয়নি রেলপথ

মেহেরপুর রেলস্টেশনের নকশা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলা মেহেরপুর। সড়কপথ ছাড়া যোগাযোগের আর কোনো মাধ্যম নেই এ জেলায়। যোগাযোগব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকায় এ জেলায় কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। কৃষিপ্রধান এ এলাকার চাষিরা উৎপাদিত সবজি নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে এক ভাষণে এ জেলায় রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে ঘোষণার ১৩ বছরেও এখানে রেলপথ নির্মাণ হয়নি। স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর জেলা যোগাযোগব্যবস্থায় একেবারেই পিছিয়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষা, সরেজমিন সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্টেশনের ডিজাইনের কাজ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় গতি পাচ্ছে না প্রকল্পটি। সড়কপথ ছাড়া যোগাযোগের বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই এ জেলায়। মহাসড়ক ও আন্তমহাসড়কের অন্তর্গত হয়নি জেলার কোনো সড়ক। স্বাধীনতার এত বছর পরও জেলায় কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। মুজিবনগরের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে প্রতিদিনই এ জেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড় জমে। সড়কের বেহালদশার কারণে সড়কপথে মুজিবনগর যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব মানুষের। সরকারের প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত প্রকল্প চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মুজিবনগর-মেহেরপুর হয়ে কুষ্টিয়া রেলপথ স্থাপন এখন সময়ের দাবি। স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণে মেহেরপুরের মুজিবনগরে রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল রেলওয়ের ডিজি টি এ চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল মেহেরপুর ও মুজিবনগর পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি একনেক বৈঠকে দর্শনা হয়ে মুজিবনগর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এবং মুজিবনগর থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুত রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় চাষিরা উৎপাদন করা সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েন। যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম থাকলে এ জেলার ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মেহেরপুরে রেলপথ নির্মাণের জন্য জরিপ বা ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি সম্পন্ন হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর