শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতিশ্রুতিতেই দেড় যুগ পার

মরাসতী নদীতে সেতু না হওয়ায় ভোগান্তি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রতিশ্রুতিতেই দেড় যুগ পার

সেতুর অভাবে সাঁকো দিয়ে পারাপার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নে মরাসতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হয়নি স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও। এ কারণে উত্তরাবাগ ও চন্ডিমারি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। মরাসতী নদী পারাপারে ওই দুই গ্রামের মানুষের ভরসা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো, আর বর্ষায় নৌকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ নদী পারাপার হতে হয় এখানকার শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষকে। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। বর্ষাকালে নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দেড় যুগ ধরে জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিই দেন। তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেননি কেউ। চন্ডীমারী গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ আবদুর রহিম জানান, শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকে গ্রাম দুটি। জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এলাকাবাসী জানান, প্রায় ১৯ বছর আগে স্থানীয়দের অর্থায়নে মরাসতী নদীর ওপর তৈরি করা হয় বাঁশের সাঁকো। তখন থেকে প্রায় প্রতি বছরই সংস্কার করে চলছে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াত। এই বাঁশের সাঁকো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। পুরাতন হয়ে গেছে বাঁশের খুঁটি এবং পাতাটন। এটি হয়ে গেছে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও উত্তরাপাক এবং চন্ডীমারী গ্রামের ১০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মরাসতী নদী পারাপার হতে হয়। ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রাতে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। মৃত ব্যক্তির লাশ পার করতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করা গেলেও বর্ষায় প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকে গ্রাম দুটি। জনপ্রতিনিধিরা বারবার ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, দীর্ঘদিন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় ব্রিজটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত এমপি আশ্বাস দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর