শিরোনাম
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়

নীলফামারী প্রতিনিধি

কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কোচ মেরামতের কাজ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশে নতুন নতুন রেলরুট ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালুর পর বেড়েছে কোচের চাহিদা। এ অবস্থায় নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বেড়েছে কোচ উৎপাদন। দিনে তিন ইউনিট মেরামত লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, হচ্ছে চার ইউনিট। এ কারখানায় কোচ মেরামত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ছয় মাসে মেরামত হয়েছে ৩১৭টি কোচ। রেলওয়ে কারখানা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দেশে রেলপথ বাড়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালুর পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে বেশকিছু নতুন ট্রেন যোগ হয়েছে। এ জন্য দিতে হচ্ছে কোচের জোগান। ফলে চাপ বেড়েছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার ওপর। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের (উপকারখানা) ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম জানান, এখানে প্রতিদিন তিন ইউনিট কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতিদিন দুই ইউনিটে একটি পূর্ণাঙ্গ কোচ বুঝানো হয়। আমরা চলতি অর্থ বছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ৩১৭টি কোচ মেরামত করেছি। প্রতিদিন চার ইউনিট মেরামত কাজ হয়েছে এখানে। কারখানা সূত্র জানায়, সৈয়দপুর কারখানায় লোকবল সংকট রয়েছে। এখানে ২ হাজার ৮৫৯ জনের স্থলে লোকবল রয়েছে ৮২০ জন। ১১০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা বিশাল এ কারখানার ২৮টি উপকারখানায় (শপ) উৎপাদন চলছে সীমিত সংখ্যক লোকবল নিয়ে। কারখানায় বাজেট স্বল্পতা রয়েছে। চলতি বছরে মাত্র ২০ কোটি টাকা বাজেট মিলেছে। বাজেটের টাকায় কোচ মেরামতকাজে ব্যবহার্য উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট দ্বিগুন করা হলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। কারখানা সূত্র জানায়, রেলপথে চলাচলের পর অনুপোযোগী হয়ে পড়া কোচগুলো সৈয়দপুর কারখানায় এনে প্রয়োজনীয় মেরামতের পর পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় রেলপথে। চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেন এ কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। সরেজমিন দেখা যায়, এ রেলওয়ে কারখানায় ক্যারেজ শপে চলছে ভারী মেরামত কাজ। একটি ক্যারেজের বগির ওপর (আন্ডারফ্রেম) ক্রেনের মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে সুপার স্ট্রাকচার। পাশেই বগি শপে চলছিল চ্যাছিজ মেরামত। ক্যারেজ শপে চলছে রেলকোচে রঙের প্রলেপ। ১২ হাজার রকম যন্ত্রাংশ তৈরি হয় মেশিনসহ কয়েকটি শপে। যা রেলকোচ, ওয়াগন ও ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়। একটি শপে ট্রেনের ব্রেক তৈরি হয়। একটিতে তৈরি হয় একটি কোচের সঙ্গে অন্য কোচকে জুড়ে দেওয়ার কাপলিং যন্ত্র। সম্প্রতি ঢাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি কোচও আনা হয়েছে এ কারখানায়। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সাদিকুর রহমান বলেন, এখন কাজ অনেক বেশি। আমাদের ওপর চাপও বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্রপ্রকৌশলী কুদরত-ই খুদা বলেন, অবিলম্বে রেলওয়ের সব রকম সীমাবদ্ধতা দূর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে। নীলফামারী-৪ আসনের এমপি সিদ্দিকুল আলম বলেন, কারখানাটি আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর