মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কাঁচা রাস্তায় কৃষকের দুর্ভোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

কাঁচা রাস্তায় কৃষকের দুর্ভোগ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইটভাটা থেকে রেললাইন পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা। এর বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। সামান্য বৃষ্টি হলেই এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এ রাস্তা দিয়ে হাজারো কৃষক তাদের উৎপাদন করা কৃষিপণ্য পরিবহন করেন। তখন তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেহাল এ রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনে তাদের দ্বিগুণ খরচ গুনতে হয়। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে লোকসানও হয় কৃষকদের। এ রাস্তার এমন অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। তবে এত বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই।

রাতইল গ্রামের কৃষক রমজান মোল্লা বলেন, ‘রাস্তাটি অনেক বছর ধরে অবহেলিত। এখান দিয়ে আমরা জমিতে উৎপাদন করা সরিষা, মসুর, খেসারি, বোরো ধান, বিভিন্ন রবিশস্য ভ্যান-নসিমন ও ঘোড়া-গরুর গাড়িতে পরিবহন করি। কিন্তু এর জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাদা মাড়িয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। রাস্তায় পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগের শেষ নেই।’

কৃষক আবদুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘রাস্তাটি এলাকাবাসীর জন্য অনেক গুরুত্বপর্ণ। এটি পাকা না হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায় রাস্তাটি তলিয়ে যায়।’ কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে ফসল ঘরে তুলতে পারি। কিন্তু বৃষ্টি হলে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল ঘরে তুলতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদন করা ফসলের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। অনেক সময় আমাদের লোকসান হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হলে সহজেই যানবাহনে করে ফসল ঘরে তুলতে পারব।’ ইউপি সদস্য মো. জুয়েল সরদার বলেন, ‘রাস্তা খারাপ থাকার কারণে জমির ফসল পরিবহন করতে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফসল উৎপাদনে অনেক লোকসানও হয়। রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে এমপি মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঞ্জরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির কাজ হওয়া খুবই জরুরি। এত বড় রাস্তার কাজ করার মতো বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে এর কাজের স্কিম উপজেলা এলজিইডি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংসদ সদস্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিলে রাস্তাটি আমরা করে দিতে পারব।’

সর্বশেষ খবর