বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রশি টানা নৌকায় নদী পারাপার

দুর্ভোগে দুই উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

রশি টানা নৌকায় নদী পারাপার

বংশাই নদীর কালিয়ান-কাউলজানি বাজার খেয়াঘাট

সখীপুর ও বাসাইল উপজেলা সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়নি স্বাধীনতার এত বছর পরও। এ নদীর দুই পাড়ের মানুষের পারাপারে ভরসা রশিটানা নৌকা। কালিয়ান-কাউলজানি বাজার এলাকায় বংশাই নদীর ওপর সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। বর্ষার সময় চরম ভোগান্তির শিকার হয় স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থী। সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর এক পাড়ে সখীপুর এবং অন্য পাড়ে বাসাইল। শিশু শিক্ষার্থী, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বংশাই নদী পার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়ান, বেতুয়া, দাড়িয়াপুর, শালগ্রামপুর ও বাসাইল উপজেলার কাউলজানি, মান্দারজানি, গান্ধীনা, বল্লা ও কলিয়াসহ ১৫টি গ্রামের মানুষকে বংশাই নদী পারাপার হতে হয়। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে নদীর এপার-ওপার রশি বেঁধে নৌকা দিয়ে পারাপার হন দুই পাড়ের সাধারণ মানুষ। আর পানি কমে গেলে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হয় তাদের। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করে বলে জানান অভিভাবকরা। সাপ্তাহিক হাট-বাজার থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল নেওয়া-আনা করতেও সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কেউ অসুস্থ হলে পারাপারে সমস্যায় পড়তে হয়। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আসলাম সিকদার নোভেল বলেন, কালিয়ানসহ বংশাই নদীর দুই পারের অন্তত ১৫টি গ্রামে হাজার হাজার মানুষ এখানে চরম দুর্ভোগে পড়েন। বংশাই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সানি বলেন, দুই পাড়েই আমাদের চাষাবাদের জমি আছে। একবার ধানের চারা লাগানোর সময় আবার ধান কাটার মৌসুমে খুব সমস্যায় পড়ি। পারাপারের ক্ষেত্রে শঙ্কায় শ্রমিকরাও এ এলাকায় কাজ করতে চায় না।

কালিয়ান গ্রামের হারুন সিকদার বলেন, গবাদিপশু ও পোলট্রি খামারের মালামাল নিয়ে ইচ্ছা করলেই নদীর ওপার থেকে এই পারে আসা যায় না। মালামাল নিয়ে বাড়ি আসতে দ্বিগুণ সময় ও ভাড়া গুনতে হয়। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল বাছেদ বলেন, সখীপুরের সীমান্তবর্তী বংশাই নদীর ওপর অনূর্ধ্ব ১০০ ফিট করে কয়েকটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। কাগজপত্র হাতে না আসা পর্যন্ত আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর