শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সূর্যমুখী ফুলে হলুদ কৃষি খেত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সূর্যমুখী ফুলে হলুদ কৃষি খেত

প্রচলিত অন্য ফসল বাদ দিয়ে সূর্যমুখী চাষ করেছেন কৃষক নুরুল হক। তিনি ১ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। এসব গাছে এখন শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় অনেক ফুল। সবুজ গাছের মধ্যে হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তার খেত। তার সূর্যমুখীর ফুলের এমন এক দৃশ্য যেন প্রকৃতিকে করেছে আরও রূপময়ী ও আকর্ষণীয়। সরেজমিন জানা যায়, সদর উপজেলার পৌরসভার পলাশবাড়ী হালমাঝিপাড়া গ্রামের কৃষক নুরল হক (৩৩)। তিনি সাধারণত তার জমিতে নানা জাতের ফসল ফলিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ব্যয়ভার বেশি এবং লাভ কম হওয়ায় সুর্যমুখী ফুল চাষ বেছে নিয়েছেন নুরুল হক। তিনি জানান, পূর্বে জমিতে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের চাষ করতাম। কিন্তু গত বছর সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার পেয়ে চেরেঙ্গা এলাকার ২৫ শতক জমিতে প্রথম সূর্যমুখী চাষ শুরু করি। আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা আর সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করেন ৩০ হাজার টাকায়। তাই এ বছর কৃষি অফিস থেকে বেশি পরিমাণে বীজ সংগ্রহ করে ১ একর জমিতে চাষ করেছি সূর্যমুখী ফুল। এ চাষে খরচ কম লাভ অনেক। তাই আমি এ চাষ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করি। কৃষি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সূর্যমুখী ফুল একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ফসল। প্রতি বিঘা জমিতে বপনের জন্য ১ কেজি সূর্যমুখী বীজের প্রয়োজন হয়। সেখানে খুবই কম মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক কম শ্রমে অধিক ফলন পাওয়া যায়। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরীন বলেন, সূর্যমুখী চাষ এখন বেড়েছে। এটি থেকে সয়াবিনের মতো সূর্যমুখীর তেল উৎপাদন হয়। তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরিষা চাষের পাশাপাশি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ হয়েছে।

এ বছর ৮৫ জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। সূর্যমুখী বীজের বাজারজাত সহজতর করার লক্ষ্যে ‘তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’ এর মাধ্যমে আমরা বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছি।

 

সর্বশেষ খবর