শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ

মানিকছড়িতে অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সফল হয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও কৃষি উদ্যোক্তা চিংওয়ামং মারমা মিন্টু। চলতি মৌসুমে ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে এ বিদেশি সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। নিয়মিত পরিচর্যায় ফলন এসেছে আশানুরূপ। স্কোয়াশ কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে শশা আকৃতির। এটি শশার মতো লম্বা হলেও রং মিষ্টি কুমড়োর মতো। চাষ পদ্ধতিও মিষ্টি কুমড়োর মতোই। একটি স্কোয়াশ ওজনে ২-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এ ছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। কৃষি উদ্যোক্তা মিন্টু মারমা জানান, বেসরকারি সংস্থা আইডিএফের ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর তিনি স্কোয়াশ চাষ করেন। প্রতিটি গাছেই ফুল-ফলে পরিপূর্ণ হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায় তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের একেকটি গাছের গোড়ায় আট থেকে ১২টি পর্যন্ত ফল বের হয়। আইডিএফের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে স্কোয়াশের বাণিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে। মানিকছড়ি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এখানকার মাটি স্কোয়াশ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।

সর্বশেষ খবর