শিরোনাম
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খানসামার ৯৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮৭টিতে নেই শহীদ মিনার

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না শিক্ষার্থীরা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

খানসামার ৯৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  ৮৭টিতে নেই শহীদ মিনার

খানসামা উপজেলার বালা ডান্ডি উচ্চবিদ্যালয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহান ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের খানসামার ৮৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো নির্মাণ করা হয়নি স্থায়ী শহীদ মিনার। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তাও পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে পরিষ্কার করে তা ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না। খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউপির নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদরাসা, কলেজ ও কারিগরি কলেজ মিলে ৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।

সেই সঙ্গে উপজেলার কোনো মাদরাসা ও কারিগরি কলেজে শহীদ মিনার না থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, এ উপজেলার ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, খানসামার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষার্থীরা নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না। উপজেলা সদর ও পাকেরহাটের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারছে না। খানসামার পাকেরহাট, ছাতিয়ানগড়, আংগারপাড়া, খামারপাড়া এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইট-সিমেন্টের মানসম্মত শহীদ মিনার রয়েছে। তবে কিছু বিদ্যালয়ে রয়েছে লোহার পাইপ দিয়ে বানানো শহীদ মিনার। সেগুলো জং ধরে বর্ণহীন। এখন ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ। উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনারবিহীন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, এ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো প্রতিবছর সংস্কারে প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাউশির নির্দেশনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।  শহীদ মিনার তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতিকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর