ফুলে ফুলে সেজেছে নাটোরের ‘উত্তরা গণভবন’। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। গোলাপ, নয়নতারা, সিলভিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া আর হলদে গাঁদা ফুলে ছেয়ে গেছে এর বাগান। এ ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিরল প্রজাতির ফুলও ফুটেছে। যার মধ্যে রয়েছে- সাদা অ্যারামন্ডা, হোয়াইট পয়েন্সেটিয়া, পারিজাতসহ বাহারি প্রজাতির ফুল। নানা প্রজাতির ফুল দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে। ফুলের সুবাস আর পাখির কলকাকলিতে মুখরিত পুরো গণভবন চত্বর। ফুল থাকবে মৌমাছি-প্রজাপতি থাকবে না তা তো হয় না। সব মিলে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের পসরা মেলেছে ‘উত্তরা গণভবন’।
সরেজমিনে দেখা যায়, এর মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই দুই পাশের সারি সারি গাঁদা ফুল। এসব ফুল যেন দর্শনার্থীদের বরণ করছে। ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফুলের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। অনেকে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে মন ভরে ঘ্রাণ নিচ্ছেন। শুধু বড়রা নয়, শিশুরাও ফুলের সঙ্গে আনন্দে মেতেছে। দেশি-বিদেশি অসংখ্য ফুল ও ফলের গাছগাছড়া, সুদীর্ঘ লেক, পুকুর, ইতালিয়ান গার্ডেন ও নয়নাভিরাম একাধিক ভবন রয়েছে উত্তরা গণভবনে। এর মূল প্যালেসের পাশে রানীমহল, গ্র্যান্ড মাদার মহলের পাশের অংশ ও ইতালিয়ান গার্ডেনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে প্রতিদিন গণভবনে ঘুরতে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নজর কাড়ছে বাহারি রঙের ফুল।
জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁইয়া বলেন, উত্তরা গণভবনে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এখানে ২১ প্রজাতির ২৫ হাজার ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। পুরো গণভবন ফুলে ফুলে সজ্জিত হয়ে উঠেছে।