শিরোনাম
সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অসময়ে কমছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

অসময়ে কমছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

অসময়ে কমছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। পুরোপুরি শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই শুকিয়েছে তলদেশ। হ্রদের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় ডুবোচর। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে নৌ ও লঞ্চ চালকদের। নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা রাঙামাটি জোন। সংগঠনটির নেতা মঈন উদ্দীন সেলিম বলেন, রাঙামাটির ছয় উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাপ্তাই হ্রদ। উপজেলাগুলো হলো- বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি। সড়ক না থাকায় নৌপথই একমাত্র ভরসা। এবার অসময়ে দ্রুত কমছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। ফলে নানামুখী সংকট তৈরি হয়েছে হ্রদের নৌপথে চলাচলে। সংগঠনের রাঙামাটি জোনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন বলেন, বর্ষা শেষ হলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। তাই হ্রদে ছিল পর্যাপ্ত পানি। শীত মৌসুম মাত্র শেষ। তার আগেই কমে গেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। পানি কমায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। নৌচলাচল বন্ধ হলে উপজেলাবাসীর যাতায়াত যেমন বন্ধ হয়ে যাবে, ধস নামবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্রুত কমেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এরই মধ্যে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, ছড়া, ঝরনা ও নদী। নেই খাবার পানি। দুর্গম উপজেলাগুলোতে প্রায় বন্ধের পথে লঞ্চ চলাচল। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে এমন দুর্ভোগ রাঙামাটিবাসীর কাছে স্বাভাবিক হলেও, এবারের চিত্র ভিন্ন। এ বছর অসময়ে কমেছে পানি। কষ্টের মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ বলছেন স্থানীয়রা। বরকল উপজেলার বাসিন্দা শ্যামল চাকমা বলেন, দুই মাসের অধিক সময় ধরে কাপ্তাই হ্রদের পানি টান ধরেছে। হ্রদ ছোট হয়ে পরিণত হয়েছে ছড়ায়। লঞ্চ চলাচল বিচ্ছিন্ন প্রায়। প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে গেলে এমন সমস্যা তৈরি হয়। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হয় উপজেলার বাসিন্দাদের। পরিবেশবিদরা বলছেন, কাপ্তাই হ্রদ যেমন ড্রেজিং প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন রক্ষণাবেক্ষণও। অপরিকল্পিতভাবে হ্রদের বালি তুলে ব্যবসা করলে পানি দ্রুত হ্রাস পাবে।

সর্বশেষ খবর