শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি

২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সেতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তি

আখাউড়া উপজেলার কাজার বিল বাল্লা খালের ওপর নির্মিত সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মাঝিগাছা ও নয়ামুড়া গ্রামের মাঝে কাজার বিল বাল্লা খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক করা হয়নি। ২ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওই সেতুটি এখন এলাকাবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট-নয় মাস ধরে এ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নয়ামুড়া, কর্মমট, হরিপুর, ধর্মনগর, রাজ মঙ্গলপুর, ঘাগুটিয়াসহ ১১ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে টনকি অথবা নয়াবাজার হয়ে গোপনাথপুর দিয়ে ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া ২ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাঝিগাছা-নয়ামুড়া সড়কের কাজার বিল বাল্লা খালের ওপর ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকমান এন্টারপ্রাইজ আট মাস আগে সেতুটির এ পর্যন্ত কাজ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি।

এলাকাবাসী জানায়, সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে ওঠানামা করতে বালুর বস্তা সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্মমট উচ্চবিদ্যালয়, টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদরাসা, মনিয়ন্দ উচ্চবিদ্যালয় ও গোপনাথপুর শাহ আলম কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ সেখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীসহ লোকজন যাতায়াত করছে। সাইকেল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা বাইসাইকেল কাঁধে নিয়ে সেতুতে ওঠে। ধর্মনগর গ্রামের গাউছ মিয়া বলেন, ১০-১১ গ্রামের মানুষ, স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারে যেতে এ পথে চলাচল করে। ওই সেতুতে মানুষের ওঠা কঠিন। মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. মোতালিম জানায়, ‘মাদরাসায় যাওয়া-আসার এ পথে বাইসাইকেল কাঁধে নিয়ে ব্রিজে উঠি।’ মাঝিগাছা গ্রামের কৃষক মুকবুল হোসেন বলেন, ‘সেতুর দুই পাশে সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে খুব কষ্ট হয়।’

মেসার্স লোকমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. লোকমান হোসেনের ফোনে কয়েকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলেছি দ্রুত সংযোগ সড়কটি করে দেওয়ার জন্য।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘নির্মাণকাজ শেষ হলেও এতদিন সেতুর দুই পাশে পানি জমা ছিল। সে কারণে ভেকু মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে কাজ করা যায়নি। এখন শুষ্ক মৌসুম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলেছি সংযোগ সড়কের কাজটি শেষ করার জন্য।’

সর্বশেষ খবর