শিরোনাম
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারুপণ্যে কর্মসংস্থান শত শত পরিবারের

হাতছানি অর্থনৈতিক সম্ভাবনার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কারুপণ্যে কর্মসংস্থান শত শত পরিবারের

দিনাজপুরের খানসামায় পাট ও হোগলা পাতার পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের খানসামায় পরিবেশবান্ধব পাট আর হোগলা পাতার কারুপণ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে শত শত পরিবারের। এখানকার কারুপণ্য রপ্তানি হচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপের ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ২৫-৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমেও। দেশি বিভিন্ন কোম্পানি ঢাকা, খুলনা ও রংপুরের বিভিন্ন শো-রুমে প্রতিনিয়ত এখানকার পণ্য সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাট আর হোগলা পাতার কারুপণ্য এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করছে। জানা গেছে, দিনাজপুরের খানসামার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের বাসুলী কালাম চেয়ারম্যানপাড়ায় আত্রাই নদীর তীরে ‘রংজুট বিডি কোম্পানি’ নামে পাট আর হোগলা পাতায় কারুপণ্য কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। ওই কারখানায় ফরিদপুর-টাঙ্গাইল থেকে আনা পাট ও নোয়াখালী-ভোলা থেকে আনা হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হয় দৃষ্টিনন্দন হোগলা বাস্কেট, ফ্লোর রাক্স, ওয়াল ডেকর, ফ্লোর ম্যাট, ডাইনিং ম্যাট, পাপোশ, ডোর ম্যাট, আয়না ও দোলনাসহ বিভিন্ন পণ্য।  কারখানাতে প্রবেশ করলেই দেখা যায় সুই-সুতো দিয়ে পাট ও হোগলা পাতার নিত্যনতুন পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা। আধুনিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে পণ্য তৈরিরও কাজ চলছে। কারখানায় স্থায়ী ও পার্টটাইম কাজ করেন সাড়ে ৫ শতাধিক নারী। স্থায়ী শ্রমিকরা প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা মূল বেতনের সঙ্গে কাজের ওপর বোনাস পেয়ে থাকেন। এর বাইরে যারা এ কাজে সম্পৃক্ত তারা কাজের ভিত্তিতে পারিশ্রমিক পান। সাহেবানী নামে এক নারী বলেন, বাড়িতে বসে না থেকে এখানে কাজ করে কিছু টাকা আয় করলে সংসারের অনেক উপকার হয়। বাড়ি থেকে যাতায়াতও সহজ। রুবিনা বেগম নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, ৭-৮ মাস ধরে কাজ করি। আমার দুই ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ আর সংসারে উপার্জনের এই টাকা অনেক কাজে লাগে। রংজুট বিডির স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী কাইদুজ্জামান আজাদ জানান, পাট ও হোগলা পাতার কারুপণ্যের চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। প্রতি মাসে গড়ে ২৫-৩০ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করা হয়। বাড়ছে এ কাজের পরিধি ও কর্মসংস্থান। বিদেশে প্লাস্টিক বর্জন করে পরিবেশবান্ধব এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পণ্যের গুণগতমান আরও বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধিসহ দেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা জানান এ প্রকৌশলী। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা পেলে এ কাজের পরিধি আরও বাড়ানো সম্ভব। এতে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সর্বশেষ খবর