সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে জিমহা (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু ও পরিবারের আরও চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার রাতে বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জিমহা খাতুন বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছি গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন কাইয়ুম উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন খাতুন, মেয়ে রিয়া, নুরি ও ভাতিজি মিথিলা। স্থানীয় বাসিন্দা জামিল উদ্দিন জানান, কাইয়ুমের পরিবারের সবাই রোজা ছিলেন। ইফতারের আগে আমিনুল ইসলাম ও সাগরের দোকান থেকে স্যালাইন, প্রমি সফট ড্রিংক পাউডার টেস্টি স্যালাইন ও নাফিজ টেস্টি স্যালাইন সফট ড্রিংক পাউডার কিনে আনেন। সন্ধ্যায় ইফতারের সময় তিনটির সমন্বয়ে বানানো শরবত সবাই পান করেন। এর পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর পাঁচ রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী খাবার স্যালাইন খেয়েই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, পুলিশ দোকানদার আমিনুল ইসলাম ও সাগর, নাফিজ টেস্টি এলাইন পাউডারের প্রস্তুতকারক আনিছুর রহমান ও সেলসম্যান হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দোকানদার আমিনুল ইসলাম ও সাগর, নাফিজ টেস্টি এলাইন সফট ড্রিংক পাউডারের প্রস্তুতকারক আনিছুর রহমান ও সেলসম্যান হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে। স্যালাইন, প্রমি সফট ড্রিংক পাউডার টেস্টি স্যালাইন ও নাফিজ টেস্টি এলাইন সফট ড্রিংক পাউডার প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। প্যাকেটগুলোর মধ্যে কয়েকটির তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণ ও কয়েকটির গায়ে কোনো তারিখ লেখা নেই। এ ঘটনায় বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।