শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মেয়াদ শেষ, কাজ হয়নি ২৫ ভাগও

মহিশাষী-বাথুলি সড়কে সেতু নির্মাণ

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

মেয়াদ শেষ, কাজ হয়নি ২৫ ভাগও

আংশিক পাইলিং শেষে বন্ধ রাখা হয়েছে সেতু নির্মাণকাজ বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার ধামরাইয়ের মহিশাষী-বাথুলি সড়কে সেতু নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই মাস আগে। অথচ এ সময় ওই সেতু নির্মাণ কাজের এক-চতুর্থাংশও সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া ছয় মাস আগে থেকে এখানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন ছয় মাস আগে কাজ বন্ধ করে চলে গেছেন। তবে ঠিকাদার বলছেন, সেতুর গোড়ায় পানি জমে থাকায় কাজ করতে পারছেন না তিনি। ধামরাই উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় (ডিডিআইআরডব্লিউএসপি) ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুন মাসে। ধামরাই-সাটুরিয়া সড়কের মহিশাষী বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সংযুক্ত বাথুলি বাসস্ট্যান্ড সড়কের বেলিশ্বর মোহনী মোহন উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিলে ওই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৯৩ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নে সেতুটি নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিরাপদ এন্টারপ্রাইজ। ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। অথচ এ সময়ে সেতুর ২৫ ভাগ কাজও হয়নি। এরই মধ্যে নির্মাণকাজ বন্ধ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে গেছে। বেলিশ্বর এলাকায় দেখা গেছে, সেতু নির্মাণস্থলে পাইলিং আংশিক হয়েছে। সেখানে একটি পিলারের রড মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে সেতু নির্মাণে ঠিকাদারের কোনো মালামাল নেই। কাজের সাইনবোর্ডও নেই। কোনো শ্রমিককেও সেখানে পাওয়া যায়নি। এর পাশ দিয়ে তৈরি করা বিকল্প সড়ক অনেক ঢালু। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখান দিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে যায়।

স্থানীয় আবদুল মজিদ, রণজিত পালসহ এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন শত শত মানুষ এখান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। ছয় মাস কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। মানুষের খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অটোরিকশা-ভ্যানে চলাচলে বিকল্প রাস্তার এক প্রান্তে নেমে অন্য প্রান্তে গিয়ে উঠতে হয়। বৃষ্টির সময় প্রচ- পিচ্ছিল হয়ে যায়। তখন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। এখানে কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ভ্যানচালক হাসেম আলী জানান, বিকল্প রাস্তায় মালামাল আনা- নেওয়ার সময় ভ্যান ঠেলে তুলতে হয় ওপরে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাকিল আহম্মদ জানান, সেতু নির্মাণস্থলে পানি থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি সরে গেলেই কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে  নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি। কয়েকদিন আগে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আবার কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে কাজ শুরু না করলে কাজ বাতিল করে নতুন টেন্ডার দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর