মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্ধেক সেতু বানিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

অর্ধেক সেতু বানিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা

সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পাঁচ গ্রামের মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুরে ভৈরব নদের ওপর সেতু নির্মাণকাজ অর্ধেক করে পালিয়েছেন ঠিকাদার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। যদিও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের দাবি কাজ চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯৭৫ মিটার চেইনেজে ৯৬.১০ মিটার পিএসসি গার্ডার সেতু ২০২১ সালে নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ব্যয়ে ওই সেতু ২০২৩ সালের জুনে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স কামার জানি সুমন’ সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে বাধা দেয় গ্রামবাসী। এরপর আর কাজ না করে ঠিকাদার সব গুছিয়ে নিয়ে যায়। এখন ভৈরব নদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে মরচে ধরা রডে অর্ধনির্মিত সেতু।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, পাঁচ গ্রামের মানুষকে ভোগাচ্ছে ব্রিজটি। একটি সাঁকো আছে সেটাও ভেঙে গেছে। কৃষকরা মাঠের ফসল নিয়ে আসতে পারছেন না। ওই এলাকার মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে। সেখানে পাহারার দায়িত্বে থাকা উজলপুরের মো. গরিবল্লাহ বলেন, মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে তিনি দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন। সাত মাস তিনি কোনো বেতন পাননি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সময় থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউ না থাকায় কাজও ছাড়তে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামার জানি সুমনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রিজটি নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ দিকেও এর কাজ শেষ হয়নি। ব্রিজটি নিয়ে এ অঞ্চলের জনসাধারণ অনেক ভোগান্তির মধ্যে আছেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বির-উল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতি দেখিয়ে কাজটি কিছুদিন বন্ধ রেখেছিল। এখন আবার কাজ শুরু করবে।

সর্বশেষ খবর