বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

কাদাপানিতে মারণফাঁদ সড়ক

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

কাদাপানিতে মারণফাঁদ সড়ক

সামান্য বৃষ্টিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক কাদামাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে মারণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সড়কের এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলার সাত ইউনিয়নের সড়কের চিত্রই এখন এমন। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় শতাধিক ইটভাটার মাটি ট্রাকে পরিবহন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি। ইটভাটার মালিকরা জনদুর্ভোগকে পাত্তা দেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি বালিয়াকান্দিতে সামান্য বৃষ্টি হয়। এতে বালিয়াকান্দি-নারুয়া, বালিয়াকান্দি-সোনাপুর, বালিয়াকান্দি-রাজবাড়ী সড়কে কাদা জমে যায়। রাস্তায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। প্রতিটি ইটভাটার সামনে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা ভিজে পিচ্ছিল মারণফাঁদে পরিণত হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক ক্ষমতাসীন দলের লোক। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা দেন। যে কারণে জমির শ্রেণি পরিবর্তন থেকে শুরু করে রাস্তায় দুর্ভোগ সৃষ্টিতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। বালিয়াকান্দির বেশির ভাগ ইটভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হয়। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

শিক্ষক উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, ‘বালিয়াকান্দিতে ১২টি ইটভাটার সামনের সড়ক বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এক ভাটামালিককে দেখলাম নিজ উদ্যোগে মাটি অপসারণ করছেন।’ বালিয়াকান্দি টিএমবি ব্রিকসের মালিক মোফাজ্জেল হোসেন মিঠু বলেন, ‘ভোরের বৃষ্টিতে ইটভাটায় কাদা জমে যায়। সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। আমি নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে রাস্তার কাদা অপসারণ করে বালু দিয়েছি।’ বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বালিয়াকান্দির বিভিন্ন রাস্তা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। জনসাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় সতর্ক হয়ে চলার অনুরোধও করেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইটভাটার মালিকদের অনেকবার সতর্ক করেছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর