শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছোট যমুনা নদী খননের পর দুই পাড়ে জমানো মাটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এর আশপাশের ফসলি জমির মাটিও। যা বিপাকে ফেলেছে নদীপাড়ের জমির মালিকদের। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তাদের ফসলি জমি। মৌখিকভাবে নিষেধ করে কাজ হয়নি। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। তার পরও বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমির মাটি নিয়ে যাওয়া। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ছোট যমুনা নদীর দুই পাশে বন্যার পানি জমে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। কৃষকরা ফসল রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডে। এর প্রেক্ষিতে ছোট যমুনা নদী খননের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ছোট যমুনা নদীর নাব্য ফেরাতে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নদী খনন কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে পাঁচবিবি উপজেলার চেঁচড়া থেকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদরা পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০ মিটার প্রস্থের এ নদীর তলদেশ ২ মিটার গভীর করে খনন কাজ করেন মেসার্স নুরুজ্জামান অ্যান্ড ডন এবং মেসার্স উন্নয়ন অ্যান্ড জোহা নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খনন করাকালীন তলদেশের মাটি নদীর দুই পাশে পাড় বাঁধা হয়। আর অতিরিক্ত মাটি কৃষকদের জমির ওপর স্তূপ করে রাখা হয়। নদী খননের অতিরিক্ত মাটি টেন্ডারের মাধ্যমে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কৃষকের জমিতে স্তূপ করে রাখা মাটি ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশপাশের ইটভাটায়। তবে স্তুপ করা মাটি সঙ্গে তারা গভীর করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমির মাটিও। এতে নদী থেকে নিচু হচ্ছে ফসলি জমি। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীর আশপাশের জমিতে আবারও বন্যার পানি জমে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।  পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বলেন, কৃষকদের অভিযোগের আলোকে জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। তাঁর নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর