শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপকূলে বেড়েছে বোরো আবাদ

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

উপকূলে বেড়েছে বোরো আবাদ

বঙ্গোপসাগর উপকূলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় বছর খানেক আগেও যেসব জমি শীতকালে পতিত পড়ে থাকতে দেখা যেত, সেসব জমিতে এখন ফসলের সমারোহ। এ উপজেলায় পাল্টে গেছে একফসলি জমির দৃশ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর এ উপজেলায় বোরো আবাদ হয় ৩০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষাবাদ হয়েছে ১২০০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা জানান, বছরখানেক আগেও এই এলাকায় একফসলি জমিতে আমন ধান তোলার পর আর কোনো ফসল চাষ করা হতো না। শীতকালে এসব জমি পতিত পড়ে থাকত। একফসলি এসব জমির দৃশ্য এখন পাল্টে গেছে। সেসব জমির দিকে তাকালেই এখন শুধু চোখে পড়ে সবুজ ফসলের সমারোহ। বর্ষা মৌসুমে আবাদ করা ধান পৌষে ঘরে তুলেছেন কৃষক। এর পর সেই জমিতে বোরো আবাদ করছেন তারা। এতে শীতকালীন বোরো আবাদে কৃষকরা যেমন পাচ্ছেন বাড়তি ফসল, তেমন আর্থিকভাবেও হচ্ছেন লাভবান। গোটা উপজেলায় চলছে এখন বোরো আবাদ। কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ, উঠান বৈঠক ও উন্নত বীজ সহায়তায় শরণখোলায় বোরো আবাদ বেড়েছে এমনটাই দাবি কৃষি বিভাগের। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলনায় চার গুণ জমিতে এ বছর বোরো আবাদ হচ্ছে। 

কৃষক শাহজাহান ফকির, আসলাম খান, মানিক মোল্লা, সবুর ফকির, মোশারফ হাওলাদার, কৃষানি রহিমা বেগম জানান, এই এলাকায় অনেক জমি একফসলি। ওইসব জমিতে আমন ধান উঠে যাওয়ার পর আর কোনো ফসল আবাদ করা হতো না। জমি পতিত পড়ে থাকত। কেউ বোরো চাষ করতেন না। কৃষি কর্মকতাদের পরামর্শে তারা গত বছর প্রথম বোরো চাষ করেন। গত বছর ফসল ভালো হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক বোরো চাষে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তাই এ বছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই বোরো আবাদ দ্বিগুনের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ধানসাগর ও সাউথখালী ইউনিয়নে বোরো আবাদ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, গত বছর এ উপজেলায় বোরো আবাদ হয় মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষাবাদ হয়েছে ১২০০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।  আগামীতে শরণখোলা উপজেলায় কোনো জমিই পতিত থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।

 

সর্বশেষ খবর