শিরোনাম
শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হ্যাঙ্গা জালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

হ্যাঙ্গা জালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ

মাছ ধরায় ব্যস্ত স্থানীয় দুই ব্যক্তি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কেউ বলেন ‘হ্যাঙ্গা জাল’, কেউ ‘ঠেলা জাল’। তিন কোনা বিশিষ্ট এ জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য নতুন নয়। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের এটি ঐতিহ্য। বর্ষা এলে এ জালের ব্যবহার বেড়ে যায়। তরুণ থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ এ জাল দিয়ে মাছ ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেকের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম এ জাল। কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ আজম কলোনী গ্রামের খোকন (৬০) বলেন, ‘হ্যাঙ্গা জাল তিন ধরনের-ছোট, মাঝারি, বড়। ছোট হ্যাঙ্গা দিয়ে শিশুরা এমনকি গ্রামের মহিলারাও মাছ ধরে। মাঝারিটা দিয়ে তরুণরা আর বড় হ্যাঙ্গা দিয়ে স্বাভাবিক বয়সের মানুষ ও পেশাজীবীরা মাছ শিকার করে।’ একটি হ্যাঙ্গা জাল তৈরিতে ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।

উপজেলার নয়াকাটা গ্রামের নাসির (৬৫) বলেন, ‘হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা ঐতিহ্য। কুতুবদিয়ায় কোনো মৌসুম লাগে না এ জাল দিয়ে মাছ ধরতে। বৃষ্টি হলে হ্যাঙ্গা জালের ব্যবহার বেড়ে যায়।’ আহসান হাবিব নামে এক কিশোর জানায়, ‘হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। ১ কেজি ওজনের পর্যন্ত মাছ ধরা পড়ে এ জালে।’ গৃহবধূ গুন্নু বেগম জানান, বর্ষাকালে বাড়ির আশপাশে পানি ওঠায় মাছের বিচরণ বাড়ে। তখন তারাও হ্যাঙ্গা দিয়ে মাছ ধরেন।

সর্বশেষ খবর