শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ

কয়েকগুণ বেশি পথ ঘুরে চলাচল করছেন স্থানীয়রা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ

সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ব্যবহার করা যাচ্ছে নবনির্মিত সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভার একটি সড়কে পুনর্নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছে, কাজ ছেড়ে পালিয়েছে ঠিকাদার। কয়েক মাস ধরে সেখানে কোনো কাজ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ এখন কয়েকগুণ বেশি পথ ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ঠিকাদার বলছেন, কাজ ছেড়ে পালানোর কোনো সুযোগ নেই।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর উপজেলার পৌর এলাকার কৈয়েরপাড়া মসজিদ থেকে দেলুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের পুনর্নির্মাণ ও মেরামত কাজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। সেখানে ০.৯১৭ এবং ০.৯৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাল ছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পের নাম ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট। এটি বাস্তবায়ন করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। ২০২২ সালে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও সামান্য কিছু কাজ করে কয়েক মাস আগেই চলে গেছেন ঠিকাদার এবং তার লোকজন।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়কটি দিয়ে দেলুয়াবাড়ী, দীঘলকান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখার কারণে ওইসব গ্রামের মানুষ এখন ভিন্ন সড়ক দিয়ে কয়েকগুণ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে চলাচল করছেন। এ সড়কের তিনটি সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনটিতেই নেই সংযোগ সড়ক। ফলে সেখান দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। কৈয়েরপাড়া গ্রামের রমজান আলী জানান, এক বছর আগে সড়কটির কাজ শুরু হয়েছিল।

উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দীঘলকান্দি গ্রামের আইয়ুব আলী তরফদার জানান, কয়েক মাস আগে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফয়েজ মিয়া জানান, কাজটি আগের মূল্যে নির্ধারণ করা রয়েছে। এটি পুনঃটেন্ডার বা সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন। আমি কাজ ছেড়ে চলে আসিনি। এ কাজের জন্য আমার ২০ লাখ টাকা সিকিউরিটি দেওয়া আছে। অনেক টাকার কাজ বাস্তবায়ন করেছি। এ পর্যন্ত শতকরা ৫ ভাগ বিলও আমি পাইনি। তাই কাজ ছেড়ে পালানোর কোনো সুযোগ নেই।

সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় কাজটি কেন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারছে না তা আমার বোধগম্য নয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, খুব শিগগিরই কাজটি পুনরায় শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত তিনি কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর