শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মাটির তৈজসপত্রে জীবিকা

নীলফামারী প্রতিনিধি

মাটির তৈজসপত্রে জীবিকা

কালের আবর্তে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুমারের নিপুণ হাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিলীনের পথে। একসময় গ্রামীণ গৃহস্থালির নানা কাজে অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ছিল এটি। গ্রামাঞ্চলে মাটির জিনিসপত্রের ব্যাপক চাহিদা ও কদর ছিল। সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া পালপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে গড়ে উঠেছিল সুপ্রসিদ্ধ মৃৎশিল্প। এ শিল্পের ওপর নির্ভর করে নীলফামারী জেলার অনেক নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত। তারা ওইসব গ্রাম থেকে বিভিন্ন রকমের মাটির জিনিসপত্র পাইকারি কিনে নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে বিক্রি করত। হাট-বাজারেও পসরা সাজিয়ে বসত। যা বিক্রি করে তারা ভালো আয়- রোজগার করত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির জিনিসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে সিলভার, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। এখন মৃৎশিল্পের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ না হওয়ায় মৃৎশিল্পী-ফেরিওয়ালারা পেশা বদল করেছেন। তারা ভিড়েছেন অন্য পেশায়। তবে এখনো যারা বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন, তার একজন উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ঠাঠারি পাড়ার আনছার আলী। তিনি ভ্যান বোঝাই করে মাটির হরেক তৈজসপত্র নিয়ে গ্রামের পাড়া-মহল্লায় হাঁক ছাড়েন। পরিবেশবিদদের মতে, মাটির তৈজসপত্র পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত। বিশেষ করে মাটির হাঁড়ি-পাতিলে রান্না ভাত-তরকারিতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বাজার সৃষ্টিসহ সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর