রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো

ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো

রৌমারী উপজেলায় জিঞ্জিরাম নদের ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা যাদুর চর এলাকায় জিঞ্জিরাম নদের ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ও জরাজীর্ণ কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় এখানকার হাজার হাজার মানুষকে। অনেক বয়স্ক মানুষ ও শিশু ঝুঁঁকি নিয়ে এখান দিয়ে চলাচল করেন। কৃষকরা মাথায় বোঝা নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো পার হন। এখানে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা বলছেন, স্বাধীনতার পর জেলার ৯ উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তবে রৌমারী-রাজিবপুরের যাদুর চর এখনো অবহেলিত। জরাজীর্ণ কাঁচা রাস্তা ও নড়েবড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের চলাচলে একমাত্র ভরসা। যাদুর চরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন এলাকার মধ্যে রয়েছে বালিয়ামী খেওয়াঘাট থেকে বাগানবাড়ি-লাঠিয়াল ডাঙ্গা-আলগার চর-খেওয়ার চর-উত্তর আলগার চর-বকবান্দা ব্যাপারীপাড়া-দুবলাবাড়ি-ঝাউবাড়ি-চুলিয়ার চর-বারবান্দার ওপর দিয়ে ইজলামারী খেওয়াঘাট। এ ছাড়া এখানে প্রায় ৮ কিলোমিটার জরাজীর্ণ কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলতে হয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে। চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে বালিয়ামারী নয়াপাড়া মোড় থেকে রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের ওপর দিয়ে বেকরিবিল গ্রাম পেরিয়ে সায়েদাবাদ বাজারের মহাসড়ক পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থাও জরাজীর্ণ। একদিকে কাঁচা রাস্তা অন্যদিকে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় ক্ষুব্ধ এ এলাকার জনগণ। উন্নয়ন না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। যাদুর চরের লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন (৮০) বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব অঞ্চলে উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু এ অঞ্চলটিতে উন্নয়ন হচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের এলাকায় নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তিনি চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা এবং লাঠিয়াল ডাঙ্গা দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে ভারতের জিঞ্জিরাম নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান। আলগারচর গ্রামের হাসেন আলী (৮৫) বলেন, বাড়ি থেকে বের হলে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে রৌমারী যেতে হয়। তারপর নেই পাকা রাস্তা। এখানে অনেক বয়স্ক মানুষ ও নারী চলাচল করে। ভাঙা সেতু দিয়ে চলাচলে অনেক ঝুঁকি। অনেকেই মাথায় বোঝা নিয়ে নড়বড়ে সেতু পার হন। অনেক অসুস্থ মানুষ এ রাস্তা দিয়ে ও নড়বড়ে সেতু দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। এলাকাবাসী রাস্তা পাকা ও সেতু তৈরির দাবিতে অনেকবার মানববন্ধন করেছেন। তারপরও কোনো পরিবর্তন হয়নি এ এলাকার। এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, এসব রাস্তা ও সেতুর বিষয়ে আমি অবগত আছি। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর