বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে গাছে গাছে আমের মুকুল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে গাছে গাছে আমের মুকুল

দিনাজপুরের আমের বাগান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরে গাছে গাছে এখন বিভিন্ন জাতের আমের মুকুলের ম-ম গন্ধ। ফাল্গুনের শুরু থেকেই সর্বত্রই উঁকি দিচ্ছে মুকুল। কোনো কোনো গাছে গুটিও ধরেছে। এখন বাগানে বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ উন্নত পদ্ধতিতে আম চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যাতে আমের ভালো রঙ ও ফলন পাওয়া যায়। এতে দাম ভালো পাওয়া যাবে। অনেক ব্যবসায়ী দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির চেষ্টা করছেন এবং সেই লক্ষ্যে ভালো ফলন পেতে এবং সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, রুপালি, বারি-৪, গৌরমতী, আম্রপলি, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে উৎপাদন বাড়ে, পাশাপাশি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রপ্তানিসহ বাজারজাত করতে পারলে কৃষক ব্যাপক লাভবান হবে এমনটাই বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। নবাবগঞ্জ, খানসামা, বিরল, কাহারোল ছাড়াও দিনাজপুরের সব উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে। তবে ভালো ফলনে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন নবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। বাগানে চলছে আমের মুকুল ধরে রাখতে পরিচর্যাসহ ওষুধ স্প্রে। নবাবগঞ্জের অনেক কৃষক কৃষিজমিতে সাথিফসল হিসেবে চাষ করছেন আম। নিরাপদ ও মানসম্মত আম উৎপাদন করে বাজারজাতকরণে নবাবগঞ্জে শতাধিক আম চাষির সমন্বয়ে ২০১৬ সালে ‘মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গঠন করা হয়। ঋণ সুবিধাসহ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ অঞ্চলের আম বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি ৩ একর জমিতে আম চাষ করছি। ভালো ফলনের আশাও করছি। সব আমবাগানে এসেছে মুকুল। নিরাপদ, মানসম্মত ফল উৎপাদনে পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছি। নবাবগঞ্জেই ৮০৪ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে।  এখানে প্রচুর হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, রুপালি, বারি-৪ জাতের আম চাষ হয়। প্রতি বছর ২৫-২৬ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়।’

সর্বশেষ খবর