শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মহাসড়কে বালুর ব্যবসা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

মহাসড়কে বালুর ব্যবসা

পঞ্চগড়ের প্রধান সড়ক দখল করে চলছে বালুর ব্যবসা। প্রভাবশালীরা কাউকে তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশেই বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা করছেন। মহাসড়কের পাশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনেই বালু স্তূপ করে রাখায় স্বাস্থ্য, পরিবেশের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, ব্যবসায়ীদের বালু সরিয়ে নিতে বললেও তারা কাউকে তোয়াক্কা করেন না। ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে নামেও পরিচিত। এটি জেলার প্রধান এবং ব্যস্ত মহাসড়ক। এই সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কের ধার দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থী, কৃষক এবং পথচারীরা প্রতিনিয়ত চলাচল করে। সদর উপজেলার চৈতন্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে জগদল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বালু ব্যবসায়ী মহাসড়কের যায়গা দখল করে বালুর স্তূপ করে রেখেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, চৈতন্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বালুর বিশাল স্তূপ। সারা দিনে এখানে মহসড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে ট্রাকে বালু লোড করা হয়। স্তূপ থেকে প্রতিনিয়ত ধুলাবালি ওড়ে। এ কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে বালু সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তিনি তা শোনেন না। স্থানীয়রা বলছেন, বালির স্তূপ থেকে ধুলিকণা ছড়িয়ে পড়ছে। জগদল বাজার এমনকি পঞ্চগড় শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে ধুলিকণা। ফলে ধুলাজনিত রোগ বাড়ছে। মহাসড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে বালু লোড দেওয়ার ফলে অনেক সময় যানজট হয়। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চৈতন্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, বালু সরিয়ে নেওয়ার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছি। সড়ক বিভাগকে জানিয়েছি। কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, স্কুলের দফতরি আক্তার হোসেন মহাসড়কের পাশে স্কুলের সামনে বালু রেখে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছেন। কত লোকই তো করে। কেউ কিছু বলে না। পঞ্চগড় সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, বালু সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে মামলা করতে বলা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর