শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাগরে বেড়েছে জেলিফিশ কমছে মাছের আনাগোনা

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

সাগরে বেড়েছে জেলিফিশ কমছে মাছের আনাগোনা

ক্ষতিকর বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রজাতির একটি জেলিফিশ। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে খরায় নোনা পানি থেকে এ প্রজাতির সৃষ্টি। স্থানীয়দের ভাষায় একে ‘প্যারকি’ বলে। সাগরে জেলিফিশ বাড়লে মাছের আনাগোনা কমে যায়। শুধু তাই নয়, তখন পানিতে মানুষের শরীরের চামড়া এবং জেলেদের জালেরও ক্ষতি হয়। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে মাছ। তাছাড়া শরীর ও জালের ক্ষতি হবে এই ভয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন না কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বেশির ভাগ জেলে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টি হলে বা সাগরে মিষ্টি পানি এলে জেলিশিফ দূর হতে পারে। স্থানীয় জেলেরা জানান, জেলিফিশ বা প্যারকির কারণে সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি বছর এই সময়ে এ ক্ষতিকর সামুদ্রিক প্রজাতির উদ্ভব হয়। নিজেদের নিরাপদে রাখতে সাগর থেকে জাল তুলে এনেছেন কেউ কেউ। পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জাতীয় সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কুতুবদিয়া উপজেলার আহ্বায়ক এম. শহীদুল ইসলাম বলেন, সাগরে জেলিফিশের আধিক্যের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মিষ্টি পানির শূন্যতা থেকে জেলিফিশ দিন দিন বাড়ছে। কুতুবদিয়া উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, সাগরে বিষাক্ত জেলিফিশ বেড়েছে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ ও মাছের ডিম। মাছ ও ডিম খেয়ে ফেলায় সাগরে মাছ কমছে। চট্টগ্রাম বিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের পরিচালক প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাগরে যেসব প্রাণী জেলিফিশ খেয়ে থাকে সেগুলো কমে গেছে। এই খাদক প্রাণীগুলো বাড়লে জেলিফিশ কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর