বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মাঠে মাঠে লাল মরিচ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

মাঠে মাঠে লাল মরিচ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মরিচ খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে লাল মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। কৃষকরা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের চরে এবং কেউ কেউ বাড়ির আঙিনায় মরিচ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর হোসেনপুরের ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০০ হেক্টর জমিতে লাল মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ মরিচ খেত। গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা মরিচ। কিষান-কিষানিরা বেছে বেছে পাকা লাল মরিচ তুলছেন। মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদে বছরের পর বছর মরিচ আবাদ হচ্ছে। পলিমিশ্রিত ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে ব্যাপক চাষ হয় মরিচের। কৃষকরা জানান, প্রতি বছর কার্তিক মাসে মরিচের জমি তৈরি করে অগ্রহায়ণে চারা রোপণ করেন। চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেও তারা ভালো দাম পেয়েছেন। ফাল্গুন মাস থেকে তোলা শুরু হয়েছে পাকা মরিচ। পাকা মরিচ পর্যায়ক্রমে খেত থেকে তুলে শুকাচ্ছেন কিষান-কিষানিরা। মরিচ শুকিয়ে সংরক্ষণ করে সুবিধাজনক সময় বিক্রি করেন তারা। বর্তমানে পাকা মরিচ তোলা ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ ফাঁকা মাঠ, কেউ বাড়ির উঠানে মরিচ শুকাচ্ছেন। চাষি রতন মিয়া ও খেজমত মিয়া বলেন, অনেক আশা করে এবার মরিচ চায় করেছি। ভালো দামও পাচ্ছি। শুকনো মরিচ প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিকিকিনি হচ্ছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার পরও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। প্রতি একর জমিতে ৪৫০ কেজি লাল মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে একরপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার লাল মরিচ বিক্রি করতে পারবেন কৃষক। উপজেলা সদর বাজারের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী তানভির বলেন, হোসেনপুর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ভালো দাম থাকায় চাষিরা খুশি। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ কে এম শাহজাহান কবির জানান, চাষিরা এক মাস ধরে নতুন মরিচ তুলছেন। এবার প্রতি একর জমিতে ৪০০-৫০০ কেজি পর্যন্ত মরিচ উৎপাদন হবে জানান তিনি। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর