শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোগলহাট স্থলবন্দর ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

মোগলহাট স্থলবন্দর ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ

লালমনিরহাটের মোগলহাটে একসময় স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ছিল। বাংলাদেশের মোগলহাট-ভারতের গিতালদহ রুটে নিয়মিত পণ্যও আনা-নেওয়া হতো এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতেন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম ছিল ২০০২ সাল পর্যন্ত। এখনো ১১৭ শতাংশ জমির ওপর স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মিত স্থাপনা ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে আছে। মোগলহাট স্থলবন্দরটি ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ও ধরলা নদীর ভাঙনে রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত ও ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ভাঙনে বিলীন হলে গুরুত্ব হারায়। পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভারত-বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত বন্দরটি চালুর ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লালমনিরহাট সীমান্তের ভারতীয় অংশে ধরলা নদীর ওপর একটি সেতু সংস্কার ও সেতুর উত্তর প্রান্তে ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে মোগলহাট স্থলবন্দর পুনরায় চালু করা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হবে। সেই সঙ্গে উত্তর জনপদে খুলতে পারে চার দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিতে কমবে খরচ। পরিবর্তন হবে লালমনিরহাটের অর্থনীতির চিত্র। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাটে এক নির্বাচনি জনসভায় মোগলহাট রেলস্টেশন, চেকপোস্ট ও ইমিগ্রেশন চালুসহ শুল্ক স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি মোগলহাট চেকপোস্টকে স্থলবন্দরে রূপান্তর করার বিষয়ে মতামত দেন। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালু হলে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্যে, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এ বন্দর দিয়ে ভারতের পাথর, কয়লা ও ডলোমাইটসহ আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লালমনিরহাট শহর থেকে মোগলহাটের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। এক সময় ট্রেন যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে সেটিও বন্ধ। মোগলহাট থেকে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিতালদহের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। মোগলহাট-গিতালদহ রুটের মাঝখানে ধরলা নদী। এই নদীর ওপর রয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বলেন, মোগলহাট রেলওয়ে স্টেশনসহ সবকিছুই এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, বন্দরটি চালু করতে জেলা প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর