শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সুপেয় পানির সংকট উপকূলে

শুকিয়ে গেছে পুকুর খাল-ডোবা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

সুপেয় পানির সংকট উপকূলে

বরগুনার পাথরঘাটায় পানি সংগ্রহের জন্য কলসি হাতে নারী-শিশুরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পশ্চিমে বলেশ্বর, পূর্বে বিষখালী নদী আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ঠিক মধ্যখানে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা। চারদিকে পানি, তবুও তীব্র সংকট রয়েছে সুপেয় পানির। স্থানীয়রা বলছেন, এখন চলছে চৈত্রের খরতাপ। অধিকাংশ বাড়ির পুকুর, খাল-ডোবা শুকিয়ে গেছে। প্রতি বছরই চৈত্রের খরায় খাল, পুকুর, দিঘি শুকিয়ে যায়। মাঠ-ঘাট হয়ে যায় চৌচির। সর্বত্রই সুপেয় পানি সংকটের চিত্র চোখে পড়ে। এক সময় শুধু দক্ষিণ উপকূলের পানি সংকটের খবর পাওয়া গেলেও এ সংকট ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলজুড়ে। এখানে শুধু শুষ্ক মৌসুমে সুপেয় পানির অভাব এ সময় এমনটাই নয়। ভরা মৌসুমেও সমস্যা থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ বসানোই এর একমাত্র সমাধান। পাথরঘাটা পৌর এলাকায়ও সুপেয় পানি সংকট প্রবল। ‘পানির দেশেও সুপেয় পানির জন্য লাইন’, এটিই এখানকার বাস্তবতা। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে। উপজেলার চরলাঠিমারা, বাদুরতলা, পদ্মা, নিজলাঠিমারায় দেখা গেছে, সুপেয় পানির জন্য হাহাকারের দৃশ্য। স্থানীয়রা বলছেন, কিছুদিন আগেও এক কলসি পানি ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আনতে হতো। এখন তত দূরে যেতে না হলেও পানি নিতে দিতে হয় দীর্ঘ লাইন। পানি নেওয়ার জন্য আগে থেকেই খালি কলসি লাইনে রেখে যায় নারী, শিশু কিংবা তরুণরা। পানির সংযোগ চালু মাত্রই কলসি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে যায় মানুষ। বাদুরতলা গ্রামের সেলিম, ফারুক, ইলিয়াস, ইব্রাহিম, কহিনুরের মতো অসংখ্য মানুষকে এক কলসি পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাদুরতলা গ্রামের সেলিম বলেন, প্রতিদিন বিকালে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি খাস পুকুর থেকে পানি আনতে হতো। এখন কাছেই পানি পেলেও এক কলসির বেশি পাওয়া যায় না। আগের চেয়ে কিছুটা দুর্ভোগ কমলেও পানির সংকট কাটেনি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, এ উপজেলায় গভীর নলকূপ না বসানোয় পানির সংকট আছে। বিশেষ করে চৈত্রের খরায় আরও তীব্র হয়। ইউএনও রোকনুজ্জামান খান বলেন, পানির চাহিদা মেটাতে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর