রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অধিগ্রহণেই সাত বছর পার

নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

অধিগ্রহণেই সাত বছর পার

সেতু নির্মাণ হলেও কাজ শুরুই হয়নি মহাসড়কের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণকাজ সাত বছরেও শেষ হয়নি। এর মধ্যে মূল মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২০ কিলোমিটার সড়কের এক কিলোমিটারও আমরা নির্মাণ করতে পারিনি, বলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৬২ শতাংশ। ২০১৭ সালে অনুমোদন হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ তিন দফায় বেড়েছে ৪ বছর। সড়ক বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এ প্রকল্পের ব্যয় আরও ১৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুন মাসে। তিন দফা বাড়িয়ে সবশেষ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের ৩০ জুন। জানা গেছে, তিতাস, পাগলা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত নবীনগর উপজেলা। জেলা সদর ও আশুগঞ্জের সঙ্গে নবীনগর উপজেলার সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। নবীনগর থেকে ঢাকাসহ বা অন্য কোনো শহরে যাতায়াত করতে হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা অথবা পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ঘুরে নারায়ণগঞ্জের ভূলতা-ধনবাড়িয়া হয়ে। এতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের একনেক সভায় ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১০ দশমিক ৩ ফুট। ২০১৮ সালের ১ জুলাই এর নির্মাণ ও উন্নয়নকাজ শুরু হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না থাকা, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, প্রকল্প প্রণয়ন কমিটির বিশেষজ্ঞদের ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণে ভুল, ঠিকাদারের সময় মতো কাজ শুরু করতে না পারা, প্রকল্প সংশোধনের কারণে যথাসময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৪২১ কোটি টাকা। পরে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ব্যয় আরও প্রায় ৪৩ দশমিক ৫২ শতাংশ অর্থাৎ ১৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাড়িয়ে সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ৬০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দফায় ২০২১ সালের জুন মাসে সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ ও সময় দুটিই বাড়ানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৬০৪ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। রেলওয়ের সঙ্গে জায়গা নিয়ে জটিলতা থাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২০ কিলোমিটার সড়কের এক কিলোমিটারও আমরা নির্মাণ করতে পারিনি।

সর্বশেষ খবর