রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঈদে রেলযাত্রীর সেবা দিতে ব্যস্ততা

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কোচ মেরামত

নীলফামারী প্রতিনিধি

ঈদে রেলযাত্রীর সেবা দিতে ব্যস্ততা

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কোচ মেরামত করছেন শ্রমিকরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সেবা দিতে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কোচ মেরামতের কাজ। ঈদের আগে ও পরে রেলপথের বিভিন্ন বহরে যুক্ত হবে এসব রেলকোচ। এ জন্য নির্ধারিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করছেন কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদে কারখানায় কাজের চাপ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত কোচ মেরামতের কাজ চলে এখানে। এবার ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ১২৬টি কোচ মেরামত কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপদ ভ্রমণ হিসেবে সড়কপথের চেয়ে রেলপথকে বেশি পছন্দ করেন যাত্রীরা। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি চাপ সামলাতে হয় রেলওয়েকে। উৎসব ঘিরে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিয়মিত ট্রেনের বহরে যুক্ত করা হয় অতিরিক্ত কোচ (বগি)। সে ক্ষেত্রে পুরনো বগি মেরামত করে যুক্ত করার কাজ চলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। তাই জনবল সংকটেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সূত্র জানায়, ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির ওপর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে এ কারখানায় দুই শিফটে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ও অবসরের কারণে এ সংখ্যা অনেক কমে গেছে। রেলওয়ে কারখানায় মঞ্জুরি পদ ২ হাজার ৮৬৯; যা দীর্ঘদিনেও পূরণ করা হয়নি। বর্তমানে এ রেলওয়ে কারখানার ২৯টি শপ (উপকারখানা) কর্মমুখর। এখানে ৮০৭ শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এ কারখানায় কোচ (যাত্রীবাহী) ও ওয়াগন (মালবাহী) মেরামত ছাড়াও ১২ হাজার রকম যন্ত্রাংশ তৈরি হয়ে থাকে; যা ব্যবহার হয় রেলওয়ে ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও কোচে।

সূত্র জানায়, প্রতি মাসে স্বাভাবিক সময়ে ৩০টি কোচ মেরামত করা হয়। কিন্তু ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এসব কোচ ছাড়াও নিয়মিত ট্রেনে লাগানো হবে মেরামত হওয়া এসব কোচ। পবিত্র ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন কোচে সংযোজন হবে ২০০ শতাধিক কোচ। ফলে পুরাতন কোচ মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারখানার সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য নির্ধারিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের। কারখানার কর্মরত শ্রমিক আবদুল আউয়াল জানান, বর্তমানে কারখানায় পাঁচজন শ্রমিকের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। রেল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাই কষ্ট হলেও কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অচল কোচগুলো সচল করে তুলছি। প্রতি বছর রেলওয়ে কারখানায় ঈদে শ্রমিক-কর্মচারীরা অতিরিক্ত কাজ করে থাকেন। ক্যারেজ শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদে কারখানায় কাজের চাপ বেড়ে যায়। ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী অতিরিক্ত কোচ মেরামতের কাজ চলে এখানে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান জানান, ১১০টি কোচ মেরামতের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৭৪টি কোচ মেরামত শেষে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কোচগুলো এখন মেরামত করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর