সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বগুড়ায় ৪০টি অহিমায়িত আলু সংরক্ষণাগার

বিনা খরচে আলু রাখতে পারবেন কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ৪০টি অহিমায়িত আলু সংরক্ষণাগার

বগুড়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের আলু সংরক্ষণের জন্য ৪০টি অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ হচ্ছে। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার সাতটি উপজেলায় অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে তিনটি উপজেলায় ১৯টি সংরক্ষণাগার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়, বগুড়া সদরে ৭, শিবগঞ্জে ৬ ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ছয়টি মডেল ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সবগুলো সংরক্ষণাগার নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রতিটিতে ৩০ জন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আলু চাষি বিনামূল্যে বস্তা ছাড়াই এক টন করে এবং ৪০টি সংরক্ষণাগারে মোট ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা যাবে। নির্মাণাধীন অন্য ২১টি আলু সংরক্ষণাগারের মধ্যে শাজাহানপুরে ৬, নন্দীগ্রামে ৬, কাহালুতে ৬ ও আদমদিঘী উপজেলার তিনটি। সূত্র জানায়, কৃষি বিপণন অধিদফতর বাস্তবায়নে আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি আলু সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর) নির্মাণে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আলু উৎপাদন হয়। উৎপাদন মৌসুমে তাদের আলু সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় অনেক চাষি খেতেই আলু বিক্রি করে দেন। আবার উৎপাদন খরচ মেটাতে না পেরে নগদ টাকার জন্য দ্রুত আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন কেউ কেউ। ফলে তারা ন্যায্যমূল্য ও লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হন। আলু চলে যায় কোল্ড স্টোর সিন্ডিকেট ও মধ্য স্বত্বভোগীদের হাতে। তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় মাঝেমধ্যেই অস্থিতিশীল হয় আলুর বাজার। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণ ও চাষিরা যাতে পণ্যের সঠিক দাম পান এবং সহজেই আলু সংরক্ষণ করতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। এতে আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি, অপচয় রোধ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। মডেল ঘরগুলো হবে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত সাধারণ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় আলু সংরক্ষণ করা যাবে। কৃষি বিপণন অধিদফতর বগুড়া কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মমতা হক জানান, বগুড়ায় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আলু উৎপাদন হয়।

সর্বশেষ খবর