মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে শিশু রোগী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে শিশু রোগী

২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। হাসপাতালটিতে ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ১৭৩ রোগী। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। শয্যা সংকটে একই বিছানায় দুজন করে রোগী রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য শিশু রোগীর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ১৭৩ শিশু রোগী। এর আগের দিন ছিল ১৮০ জনের মতো। চিকিৎসাধীন শিশু রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি ও শাসকষ্টজনিত রোগীই বেশি। সরেজমিন দেখা যায়, শয্যার তুলনায় চার গুণ বেশি শিশু রোগী। এ জন্য এক শয্যায় দুই শিশু রোগীকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডের মেঝে, বারান্দায় রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। পঞ্চগড় জেলা থেকে আসা তিন মাস বয়সী শিশু রোগীকে নিয়ে ভর্তি রয়েছেন রোমানা আক্তার। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। এক শয্যায় দুই শিশু রোগীকে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থেকে আসার শাহিনা আক্তার বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শয্যা নেই। তাই বাচ্চাকে নিয়ে মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে এবং চিকিৎসা এখানেই চলছে। জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও পেটের ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় অভিভাবকদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের প্রচুর তরল ও ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার দিতে হবে। শিশু ঘেমে গেলে জামাকাপড় পরিবর্তন ও ঘাম মুছে দিতে হবে। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীর সেবা মানসম্মত হওয়ায় আশপাশের জেলার অনেক অভিভাবক সন্তানদের এখানে এনে চিকিৎসা করান। এ কারণে এ হাসপাতালে সব সময় শিশু রোগীর চাপ থাকে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর