শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ২২ গ্রাম

বোয়ালমারী প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ২২ গ্রাম

ঘূর্ণিঝড়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার দুটি ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিয়ে বয়ে যায় এ ঝড়। এ সময় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। অনেক স্থানে সড়কে গাছ পড়ে  যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, ‘শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পিঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাচুড়িয়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আমিনুর রহমান জানান, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি ও ফসলের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ কয়েকগ্রাম হয়েছে লন্ডভন্ড। পাচুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঝড়ের পর কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রয়েছে। কয়েক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।

কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২ গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েক শ গাছপালা উপড়ে যায়। ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর