শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্মাণাধীন ৯ কোটি টাকার ব্রিজের পিলারে ফাটল

তিন-চার বছর ধরে ব্রিজটির নির্মাণকাজ চলছে। কাজের গতি খুবই ধীর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

নির্মাণাধীন ৯ কোটি টাকার ব্রিজের পিলারে ফাটল

সিরাজগঞ্জে হুরা সাগর নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজে ফাটল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হুরা সাগর নদীর ওপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের পিলারের চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গভীর রাতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে মোবাইল লাইটের আলো দিয়ে ওই ফাটল সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয়রা চোর ভেবে দুই মিস্ত্রিকে আটক করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় প্রবীর কুমার পোদ্দার ও আবদুর রহমান জানান, আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেলকুচি উপজেলার চরজোকনালায় হুরা সাগর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করছে এলজিইডি। তিন-চার বছর ধরে ব্রিজটির নির্মাণকাজ চলছে। কাজের গতি খুবই ধীর। সম্প্রতি নদীর পানি কমে যাওয়ায় ব্রিজের পিলারের নিম্নাংশ জেগে ওঠে। তখন একটি পিলারের নিম্নাংশে চারপাশে ফাটল দেখা যায়। এ অবস্থায় সম্প্রতি রাত দেড়টার দিকে ব্রিজের নিচে ওই ফাটল বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সময় স্থানীয়রা চোর সন্দেহে দুজনকে আটক করে। পরে সঠিক তথ্য জানার পর এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছে, নিম্নমানের কাজের কারণে পিলারের নিচের অংশ থেকে চারপাশে ঢালাই প্লাস্টার খুলে গেছে এবং রডগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাতের আঁধারে মিস্ত্রি দিয়ে সেটা কোনোমতে ঢেকে দিতে চেয়েছিল। মিস্ত্রিরা দায়সারাভাবে পিলারের ফাটল ঢেকে দিয়ে চলে গেলে নির্মাণকাজ শেষে ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় ধসে পড়ত। গভীর রাতে কাজ করতে আসা মিস্ত্রি শফিকুল ও স্বাধীন জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতে বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ফাটলের স্থান ভরাট করে দিতে বলেছিলেন।

এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রোকনমুজ্জামান বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাগর জেবি কাজটি করছে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে আমি দেখভাল করছি। পানি কমলে ফাটল চোখে পড়েছে।’

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাগর জেবির দায়িত্বরত কর্মকর্তা সাগর বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে স্টিলের ফর্মা দিয়ে কাজ করার সময় হানিকম হওয়ায় সমস্যাটি হয়েছে। পরে উপজেলা প্রকৌশলীসহ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সেটা বন্ধ করতে গেলে এলাকাবাসী চাঁদা দাবি করে। যার কারণে দিনে কাজ না করে রাতে মিস্ত্রি দিয়ে করাতে চেয়েছিলাম।’

সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজের পিলারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর